সুভাষ চন্দ্র দাশ , ক্যানিং আপনজন: প্রতিনিয়ত মৎস্যজীবীদের উপর চলছে বনদপ্তরের অমানুষিক ব্যবহার। বিভিন্ন সময় তুলে নেওয়া হচ্ছে সরকারি অনুমতি পত্র (বিএলসি)। শুধু তাই নয় অধিকাংশ সময় নৌকাকেও আটকে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন বনদপ্তরের ক্যাম্প গুলিতে। এছাড়াও জাল,মাছ,কাঁকড়া তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। বারবার বনদপ্তরের কর্মীদেরকে জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। আর তাই এবার ক্যানিংয়ের ব্যাঘ্র প্রকল্পের অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখালেন সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের মৎস্যজীবীরা। প্রায় শতাধিক মৎস্যজীবী বৃহস্পতিবার উপস্থিত হন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অফিসে। মৎস্যজীবীদের আসার খবর পেয়ে প্রকল্পের তরফ থেকে অফিসের ঢোকার দোতলার গেটের মুখে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মৎস্যজীবীরা বনদপ্তরের কর্মীদের বের হওয়ার মূল গেটে বিক্ষোভ অবস্থান করে।ঘটনার খবর পেয়ে হাজীর হয় ক্যানিং থানার পুলিশ। এরপর অফিসের মধ্যে থাকা কর্মীদের খাবার নিয়ে যেতে চাইলে মৎস্যজীবিরা বাধা দেয়।মৎস্যজীবিদের দাবী আমরা না খেয়ে রয়েছি,আর অফিসাররা খেয়ে মস্তি করবে সেটা হতে দেবো না। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। মৎস্যজীবিরা স্লোগান দিতে থাকে।পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় সেদিকে বিবেচনা করে ক্যানিং থানার পুলিশ কর্মীরা ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিসের পিছন থেকে দড়ি দিয়ে দোতলায় খাবার পৌঁছে দেয়।
মৎস্যজীবীদের তরফে হরিদাস হালদার, শাজাহান মোল্লা’রা বলেন, বিনা কারণে বিভিন্ন সময় বিএল সি তুলে নিচ্ছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা। সমস্ত বিএলসি কর্মীদেরকে নৌকায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক বিএলসির মালিক আছেন যাদেরকে বাঘে নিয়ে চলে গেছে।দরিদ্র মৎস্যজীবি পরিবারের মহিলারা সেই বিএল সি টুকু ভাড়া দিয়েই তাদের সংসার নির্বাহ করে। তাদেরও বিএলসি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যা পড়ছেন মৎস্যজীবীর পরিবারেরা। এই দাবি জানাতেই আমরা এসেছিলাম।
অন্যদিকে ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে জানানো হয়েছে বহু বিএলসি হোল্ডার আছেন যারা তিনটি চারটি করে বিএলসি নিজেদের দখলে রেখে সেগুলোই ভাড়া দিচ্ছে। প্রকৃত দরিদ্র মানুষরাই বিএলসি নিয়ে জঙ্গলের নদীখাড়িতে মৎস্য সংগ্রহ করুন। তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct