নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে এ রাজ্যে বিপুল লগ্নির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লগ্নির তালিকায় এ রাজ্যের যেসব শিল্প সংস্থা রয়েছে তার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে পশু খাদ্য, মৎস্য খাদ্য ও জৈব সার প্রস্তুতকারক ও বিপণন সংস্থা ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’। ২০০৯ সালে কলকাতার ডোভার লেন থেকে পথ চলা শুরু করা ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’ এবারের বিশ্ব বাংলা সম্মেলনে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগে রাজ্যে মৎস্য খাদ্য কারখানা এবং তা বাজারজাত করার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে এক মউ স্বাক্ষরিত করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বিশ্ব বাংলা সম্মেলনেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে এক মউ চুক্তি করেছিল ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’। তার ফলশ্রুতিতে হুগলির ডানকুনির ওল্ড দিল্লি রোডে তাদের কারখানা চলে আসছে। এবার তারা আরও বড় আকারে মৎস্য খাদ্য ও জৈব সার উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে বিপণনের লক্ষ্য নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই এবারের বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের মউ চুক্তি। বিশ্ব বাংলা সম্মেলনে ‘ভ্যালুমান অর্গানিক অ্যাগ্রিটেক প্রা. লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর তাসনিম হামিদের হাতে মউ চুক্তির কপি তুলে দেন রাজ্যের ফিশারি বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর ড. দিলীপ কুমার সর। এ ব্যাপারে ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার মহফজুর রহমান ‘আপনজন’কে জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘ফ্লোটিং ফিশ ফিডিং’ মিল প্রকল্প রূপায়ণে মউ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজ্য সরকারের পক্ষে রাজ্যের ফিশারি ডিপার্টমেন্টের সচিব আইএএস অভনিন্দ্র সিং ও ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’-এর পক্ষে ডিরেক্টর সেখ মিনহাজউদ্দিন। ওই মউ চুক্তি অনুযায়ী ২০.২৪ কোটি ব্যয়ে ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’ হুগলি জেলায় তাদের আরও একটি কারখানা গড়বে। এ ব্যাপারে ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’-এর ডিরেক্টর সেখ মিনহাজউদ্দিন জানান, এই প্রকল্পে কমপক্ষে ৮০ জনের কর্মসংস্থান হবে। রাজ্য সরকার জমির সংস্থান করলেই কারখানার কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতার তিলজলায় অবস্থিত ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’-এর অফিসেই চলছে বিষমুক্ত উপায়ে কিভাবে রাজ্যে চাষাবাদ করা যায় সেই ভাবনার কাজ। যদিও ‘ভ্যালুমান অর্গানিক’ ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে জৈব চাষ নিয়ে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার তথা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে চলেছে। এ ব্যাপারে তারা কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা নিচ্ছে। এছাড়া তারা ২০১৯ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ এর কোম্পানির ‘গবেষণা এবং উন্নয়ন’ ক্ষেত্রে অংশীদারি হিসাবে যোগ দেয়। তারা জৈব সার, পশু ও মৎস্যজাত খাদ্য দেশজুড়ে বিপণন করে চলেছে কৃতিত্বের সঙ্গে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct