রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ: সামশেরগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় জৈনকে হুমকি ও গালিগালাজ করায় কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সোমবার সামশেরগঞ্জ থানার গেটে অবস্থান বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দিরক্ষন পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মঙ্গলবারই বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এফ আই আরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে সামসেরগঞ্জের ধূলিয়ানে অবস্থিত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনের বাড়িতে যান পুলিশের আধিকারিকরা। কথা বলেন সঞ্জয় জৈন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সোমবার বিকেলে সামসেরগঞ্জের ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বাড়ি চড়াও হয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বয়ং সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সামসেরগঞ্জে। থানার সামনে সামসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে ফরাক্কার এসডিপিও আইপিএস রাসপ্রীত সিং’য়ের আশ্বাসে উঠে অবস্থান বিকক্ষোভ। বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সামসেরগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করেন তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈন। আর এফআইআর দায়ের হতেই কার্যত অতি তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে কথোপকথনের অডিও এবং ভিডিও ফুটেজ। বিষয়টি নিয়ে সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, বায়রন বিশ্বাসের মতো মানুষকে বিধায়ক বানিয়ে ভুল করেছেন সাগরদীঘির মানুষ। এধরনের ভাষা কোনো সভ্য মানুষ সমর্থন করে না। বায়রন যদি তৃণমূল কর্মীদের গায়ে হাত দেয় তাহলে আমরা এক বিন্দু তাকে ছাড়বো না। অন্যদিকে বায়রন বিশ্বাসকে কার্যত সমর্থন জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, বায়রনকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। ফলে বিতৃষ্ণা হয়ে এধরনের ভাষা প্রয়োগ করেছে। আপনারা যেটাকে কুকথা বলছেন আমরা সেটাকে প্রতিবাদ হিসাবে ধরছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct