রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: ফের শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এবার বিধায়ক বনাম জেলা সভাপতির মধ্যে বাকযুদ্ধে উত্তাল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর। বুধবারই জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সমস্ত নেতৃত্বদের নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান। এসময় চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মন্ডল সহ সব বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা কমিটিতে ১২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান। যদিও জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সুতির বিধায়ক ঈমানী বিশ্বাস। পরক্ষণেই বিধায়কের নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর নিশানায় ছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান। ঈমানী বিশ্বাস বলেন, সিপিআই(এম) কংগ্রেসের বড় দালাল, তৃণমূলকে হারানোর টেন্ডার নিয়েছেন সাংসদ খলিলুর রহমান এবং কানাই চন্দ্র মন্ডল। ইমানির দাবি, কারো সাথে আলোচনা না করে পূর্নাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করেছেন খলিলুর রহমান। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের হারানোর চেষ্টা করেছেন তাদেরকেই জেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের জন্য যেন আশ্রয় স্থান খলিলুর রহমান। তিনি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে কাজ করছেন। বিগত সামসেরগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন ও পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে হারাতে চেয়েছিলেন জেলা সভাপতি বলেও অভিযোগ করেন ঈমানী বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি সদ্য অনুষ্ঠিত সাগরদীঘি বিধানসভা উপ নির্বাচনে হারের জন্যও খলিলুর রহমান ও কানাই মন্ডলকেই দায়ী করেন ঈমানী বিশ্বাস। ঈমানী বিশ্বাসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তি বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান সাংসদ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দলের কাজ সম্পর্কে আইপ্যাক থেকে শীর্ষ নেতারা সবাই জানান। তবে, এতদিন উনি অভিযোগ না করে হঠাৎ করে এই অভিযোগ আনাটা বিস্ময়ের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct