সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: বৃহস্পতিবার নির্ভিগ্নেই সম্পূর্ণ হল জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির নয়টি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির নির্বাচন। স্থায়ী সমিতির নির্বাচন ঘিরে কোনও রকম অশান্তি এড়াতে কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় কার্যত মুড়ে দেওয়া হয় জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতি করণ। জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে নয়টি দপ্তরের মধ্যে নয়টি দপ্তরই থাকল তৃণমূলের দখলে।৪৫ সদস্যের স্থায়ী সমিতিতে ৩০ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য , ১০ জন পঞ্চায়েত প্রধান , ৩ জন জেলাপরিষদের সদস্য , ১ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদ রয়েছে। এর মধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে সাংসদ আবু তাহের খান ভোটাভুটিতে অংশগ্রহন করতে পারেননি। পাশপাশি এদিনের ভোটাভুটি পর্বে অনুপস্থিত ছিলেন সিপিএমের কয়েকজন সদস্য। তেইশের পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে জলঙ্গিতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও , বাঁধ সেধেছিল জেলা যুব সভাপতি বনাম বিধায়ক দ্বন্দ্ব। বৃহস্পতিবার স্থায়ী সমিতির নির্বাচনেও কার্যত আরও পরিষ্কার হল সেই দ্বন্দ্ব। এদিন বেলা বারোটার সময় জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির ঘরে স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষন আগেই বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও তার পক্ষের অনুগামী সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রবেশ করে। তার কিছুক্ষণ পরে ,প্রায় বারোটা কুঁড়ি নাগাদ তৃণমূল জেলা যুবসভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকি ও তার অনুগামী সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রবেশ করে। এরপর কয়েকঘণ্টা ধরে ভোটাভুটি পর্বের একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রায় ৫ টা ৫০ নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে হটাৎ বেরিয়ে আসেন জেলা যুব সভাপতি ও তার সদস্যরা ।এরপরেই একবারে পঞ্চায়েত সমিতির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাকিবুল ইসলাম রকি জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সিপিএম কংগ্রেসের সমর্থনে স্থায়ী সমিতির কমিটি নির্বাচনের বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল তারপরেও জেলা , রাজ্য নেতৃত্বকে অমান্য করে তার পুরনো দল তার পুরনো ভালোবাসা জেগে ওঠায় একটা লিখিত জোট করে সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড দখল করেছিল। আজকেও আমরা জেলা, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা চেয়েছিলাম একত্রিতভাবে তৃণমূলের স্থায়ী কমিটি তৈরি হোক, কিন্তু আমাদের জলঙ্গির বিধায়ক তিনি দল মানেন না , দলের নির্দেশ মানেন না, তিনিই শেষ কথা। যদিও জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা তৃণমূলের পক্ষ থেকেই স্থায়ী সমিতির কমিটি দখল করেছি। অন্য দলের কেও যদি ভোট দেয়, তাহলে সেটা জানবে কি করে। ওর মতো দুজন বিজেপির লোককে ধরে নিয়ে এসে বোর্ড গঠন করার চেষ্টা করিনি। দলের এইরকম দুর্দিন আসেনি। এগুলো পার্টির কলঙ্ক। যারা মানুষের কথা ভাবেনা , নিজের কথা ভাবে তারাই এইরকম কথা বলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct