আপনজন ডেস্ক: মিশরের বর্তমান রাজধানী কায়রো পরিচিত অতি জনবহুল শহর হিসেবে। জায়গা স্বল্পতা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, ঘনবসতি এবং ক্রমবর্ধমান বাড়িভাড়ার কারণে ২০১৫ সালের মার্চে রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। কায়রো বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর শীর্ষে রয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে কায়রোতে বাস করে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ। প্রতিবছরই মিশরের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তিও বাড়ছে। মন্ত্রণালয় আর দূতাবাসগুলোকে নতুন রাজধানীতে স্থানান্তরিত করলে যানজট কমবে। মানুষ স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবে।
মিশরের নতুন রাজধানীর নাম দেয়া হয়েছে নিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাপিটাল বা নতুন প্রশাসনিক রাজধানী। মিশর সরকার আশা করছে, প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর এর আয়তন হবে ৭০০ বর্গকিলোমিটার, যা প্রায় সিঙ্গাপুরের আয়তনের সমান। নতুন শহরটি কায়রোর ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তর কায়রো রিং রোডের ঠিক বাইরে সমুদ্রবন্দর শহর সুয়েজের পাশেই বড় অনুন্নত এলাকায় স্থাপিত হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শহরটি মিশরের নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক রাজধানী হয়ে উঠবে, যেখানে প্রধান সরকারি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় এবং বিদেশি দূতাবাস থাকবে। শহরটির জনসংখ্যা ধারণক্ষমতা ৬৫ থেকে ৭০ লাখ হতে পারে। এখানে প্রথম দফায় কাজ সম্পন্ন হচ্ছে মন্ত্রণালয়, সরকারি ভবন, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক এবং আবাসিক এলাকার। তবে শহরের শতকরা ৫১ ভাগের মালিকানা সেনাবাহিনীর, বাকি ৪৯ শতাংশের মালিক দেশটির গৃহায়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। দেশটির সরকার চায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা নতুন রাজধানীতে কার্যকলাপ শুরু করবে। শহরটির কেন্দ্রস্থলে কয়েকটি আকাশচুম্বী অট্টালিকা থাকবে। এর একটির নাম অবলিস্কো ক্যাপিটাল। এটি ফারাওনিক ওবেলিস্কের আকারে নকশা করা হয়েছে, যা আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু ভবন হতে যাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct