আপনজন ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক বিভাজনের জেরে দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে অমানবিকতা। গো-হত্যার মিথ্যা অভিযোগে কিংবা গরু চুরির অপবাদে কিংবা জয় শ্রীরাম না বলায় যেমন পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটছে, সেসবকে ছাপিয়ে গিয়ে আরও এক অমানবিকতার নজির সামনে এল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
প্রবল তৃষ্ণার মুখে পড়ে পিপাসার্ত হয়ে আসিফ নামে এক মুসলিম কিশোর কাছাকাছি বকে মন্দিরের জলছত্রের কাছে গিয়েছিল। পিপাসা মেটাতে সে মন্দিরের জল পান করে। কিন্তু তা সহ্য হয়নি এক সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন যুবক শ্রিঙ্গি নন্দন যাদবের। যাদব প্রথমে কিশোরটিকে জিজ্ঞেস করে তার ও তার বাবার নাম কি। মুসলিম পরিচয় পাওয়া মাত্রই তাকে ধরে শুরু করে দেয় মারধর। সেই মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় নড়েচড়ে বসে গাজিয়াবাদের পুলিশ। ভিডিও দেখে পুলিশ শণাক্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ওই এলাকাটির দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়াবাদের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, আসিফ নামের যুবককে যাদব জল পান করারর কারণ ও তার নাম-বাবার নাম জিজ্ঞেস করারা পর মারধর শুরু করে।
এ বিষয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশের এক অফিসার বরুণ কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শ্রিঙ্গি নন্দন যাদবের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরের। এর আগে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ইনস্টাগ্রামে ‘হিন্দু একতা সংঘ’ নামে অ্যাকাউন্টে এক ভিডিও পোস্ট করেছিল যাদব তাতে দেখা যায় সে হাতে ছরি নিয়ে এক মুসলিম শিশুকে হেনস্থা করছে। পরে সোশ্যাল মিডিয়া ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ওই অ্যকাউন্টটি বন্ধ করে দেয় ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। তবে শনিবারের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct