নিজস্ব প্রতিবেদক, দিঘা, আপনজন: সপ্তাহান্তে বাঙালির প্রিয় গন্তব্য দিঘা। লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। সেই দিঘাতেই চরম আতঙ্ক।পর্যটকদের চোখ কপালে। সমুদ্র তটে মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে বিষধর সাপ। যা একবার কামড়ালেই মৃত্যু অনিবার্য। এমন খবরে সাক্ষী রয়েছে নেটওয়ার্ক জগত ও পশ্চিমবঙ্গ বাসী,দিঘার এই নতুন ত্রাসের নাম,ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক।বৈজ্ঞানিক নাম পেলামিস প্ল্যাটুরাস’। আড়াই থেকে তিন ফুটের হয় এই সাপ। লেজ নৌকোর দাঁড়ের মতো চ্যাপ্টা! আরব সাগরে দেখা মেলে এই সাপের। এর বিষে পেশি অকেজো করে দেয়।একে একে কিডনি,হার্ট বিকল হতে থাকে ।দেখতে যতটা সুন্দর আদতে ততটাই ভয়ঙ্কর এমন প্রচার এই সাপ সম্পর্কে তবে সর্প বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি ,আদতে এই সাপ খুবই শান্ত প্রকৃতির,যার কামড়ের রেকর্ডও বেশ কম। অথচ সংবাদপত্রে ডিজিটাল মিডিয়া ভুল প্রচারে ফলে আতঙ্কিত পর্যটকেরা, মানুষ আতঙ্কিত! দীঘার সমুদ্র সৈকতে এসে, প্রশ্ন তোলেন বেশ কিছু সর্প- বিশেষজ্ঞ তাদের যুক্তি বইয়েলো বেলিড দিঘায় দেখা গিয়েছে ঐ ছবির শততা নেই,অপর দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এমন সাপ সমুদ্র উপকুলে দেখা যায়। দীঘার সমুদ্র সৈকতে থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে আরব সাগর, সেখান থেকে আসল কি করে এমন যুক্তি ও বেশ শক্তপক্ত সামুদ্রিক সর্প বিশেষজ্ঞ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বনদপ্তরের আধিকারিদের। দীঘার-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কতৃপক্ষ আশ্বাস দিচ্ছে আতঙ্কের কিছুই নেই, সমুদ্র সাপ সমুদ্রতটে আসে না। জলদেশের তলা থেকে বেশিরভাগ জেলেদের জালে পড়ে। স্থানীয় ভাষায় এই সাপকে তুলা সাপ বলে,কারন এই সাপ কামড়ালে মানুষ তুলার মত ফুলে যায়, তাই এই সাপকে তুলা সাপ বলে। ইয়েলো বেলিড সি স্নেক এর খপ্পরের কবলে পড়ে মার খাচ্ছে নিরীহ-নির্বিষ হলুদ পেটের “মেটুলি ঢোড়া” মার খাচ্ছে মানুষের হাতে! মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে! কারণ সংবাদপত্র বলে দেয়নি যে ইয়েলো বেলিড সি স্নেক একটি এক্সক্লুসিভ সামুদ্রিক সাপ,শরীর জলে সাঁতার কাটার জন্য অভিযোজিত,অর্থাৎ এই সাপ ডাঙায় বেশিদূর চলতে পারেনা। এই সাপের সমুদ্র সৈকত থেকে ১১ মিটার এগোনোর ক্ষমতা নেই,সমুদ্রের জলে ফিরতে না পারলে মারা যায় নদী-পুকুরের মিষ্টি জলেও বাঁচতে পারবেনা, নোনা জলে অভিযোজিত,অথচ লুপ্ত প্রায়‘মেটুলি ঢোড়া” ও অপপ্রচারে মার খাচ্ছে সেদিকে নজর নেই, ইয়েলো বেলিড সি স্নেকের জন্য অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct