আপনজন ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ, গাজায় আটক নাগরিকদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) তেল আবিব ও জেরুজালেমে এসব বিক্ষোভের আয়োজন করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের কয়েক হাজার স্বজন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী গতকাল তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ারে’ বিক্ষোভ করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বলেছেন, হোস্টেজ স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। গত কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভে সর্বোচ্চ কয়েক শ মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে। তবে গতকাল তা বেড়ে কয়েক হাজার হয়েছে। তেল আবিব থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক সারা খাইরাত বলেন, ‘এটা নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ, গাজায় ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরাসহ সবাই একটি বিষয়ে সম্মত। আর তা হলো, যুদ্ধ চলাকালে তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গাজায় এখনো কেউ কেউ জিম্মি থাকার এই সময়ে তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ গতকাল বিক্ষোভের সময় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভকারীরা বলছিলেন, ‘বুশাহ, বুশাহ, বুশাহ’। এর মানে হলো ‘লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।’ ৭ অক্টোবরের ঘটনার জন্য তারা নেতানিয়াহু এবং অন্য কর্মকর্তাদের দায়ী করছিলেন। জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের বাড়ির সামনেও জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তারা গাজায় এখনো আটক শতাধিক নাগরিককে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানান। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েল সরকারের হিসাব অনুসারে, ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। জবাবে একই দিন থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৭২২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর প্রায় ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা। মাঝে যুদ্ধবিরতি চলার সময় বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো হামাসের কাছে শতাধিক মানুষ বন্দী আছেন বলে দাবি ইসরায়েলের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct