সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বকেয়া সহ ৩৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা অবিলম্বে দিতে হবে, স্বচ্ছতার সাথে শুন্য পদ পূরোন সহ অস্থায়ী শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ সাপেক্ষে সমকাজে সমবেতন ও স্থায়ী কর্মীর মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। রাজ্যর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। এই তিন দাবি নিয়ে বুধবার বাঁকুড়া জেলাশাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বাঁকুড়া যৌথ মঞ্চ। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে ডাক দেবেন বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, রাজ্যের চলছে দেদার লুট। সারদা, রোজভ্যালি চিট ফান্ডের লুট তো ছিলোই।এখন লুটের নতুন তালিকায় ঢুকেছে শিক্ষক নিয়োগ, ১০০ দিনের কাজ ,এমনকি লটারির টিকিটও। এইভাবেই চলছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে সব ধরনের কর্মচারীকে হাতে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জরুরী জিনিসের দাম রোজ বাড়ছে। অথচ , স্থায়ী কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের অস্থায়ী কর্মচারীদের দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো হচ্ছে নামমাত্র পারিশ্রমিক দিয়ে। বহু স্থায়ী পদ শূন্য রয়েছে অথচ, অস্থায়ীদের স্থায়ী করা বা বেকারদের নিয়োগ করার কোন স্বচ্ছতাই সরকারের নেই। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করতে গিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী ও আমলা জেলার ঘানি টানছে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আদালতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারপরেও রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনরকম মহার্ঘভাতা দেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের বকেয়া ৩৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে এবং স্বচ্ছতার সাথে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। এছাড়াও , রাজ্যের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে এই তিন দাবি নিয়েই বাঁকুড়া যৌথ মঞ্চের সদস্যরা আজ বাঁকুড়া জেলা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। তাদের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct