সেখ মহম্মদ ইমরান, ঝাড়গ্রাম: করোনা পরিস্থিতির জন্য হাওড়া টাটা রেললাইনে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন ওই লাইনে চলাচল করে। সেই ট্রেন গুলির মধ্যে নীলাচল এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস ও পুরুষোত্তমপুর এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম স্টেশনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্টপেজ দেয়। গত ১৬ই আগস্ট থেকে ওই তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন ঝাড়গ্রাম স্টেশনে আর দাঁড়ায়নি। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা। তাই ওই তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন এর স্টপেজ চালুর দাবিতে, স্টিল এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবীতে এবং ঝাড়গ্রামের কদম কানন এলাকায় রেল গেটের কাছে আন্ডারপাস তৈরির দাবিতেসাধারণ মানুষ ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু, সিপিআই দলের শ্রমিক সংগঠন এ আই টি ইউ সি সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেআলাদা মঞ্চ করে শুক্রবার ও শনিবার ঝাড়গ্রাম স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
সিটুর ঝাড়্গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক পার্থ যাদব বলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ওই তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ এবং যারফলে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু আচমকা ১৬ ই আগস্ট ওই তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন ঝাড়গ্রাম দাঁড়ায় না। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা।
তাই ঝাড়গ্রাম স্টেশন মাস্টারকে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ট্রেন গুলি এখানে দাঁড়ায়নি। বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম এর প্রতিটি আসনে বিজেপি হেরে গিয়েছে। তাই রাজনীতি করার জন্য ওই ট্রেন চালু করেছিল বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের রেল দফতর। বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ায় ট্রেন এর স্টপেজ তুলে নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন তারা তাদের দাবি গুলি রূপায়ণের জন্য লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি ডি আর এমের কাছে যাবেন। ঝাড়গ্রামে কনভেনশন করবেন। প্রয়োজনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে তিনি জানান। ওই কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষকে সামিল হওয়ার জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি আহ্বান জানায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct