সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম: ২০২২ সালের ২২ শে মার্চ আততায়ীর ছোড়া বোমার আঘাতে খুন হয় রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু সেখ। খুনের বদলা নিতে ঐ রাতেই একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটানোর ফলে পুড়ে মৃত্যু হয় দশজনের।অগ্নিসংযোগের মূল অভিযুক্ত ছিলেন নিহত ভাদু সেখ এর ছায়া সঙ্গী লালন সেখ। সিবিআই অভিযুক্ত লালন সেখ কে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে নেই। তদন্তের স্বার্থে সিবিআই তাদের অস্থায়ী অফিস রামপুরহাট পান্থশ্রী গেস্ট হাউসে লালন সেখকে রাখেন।সেখানে থাকাকালীনই লালন শেখের মৃত্যু হয় রহস্যজনক ভাবে।মৃত লালন সেখ এর মৃত্যুর তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান নতুনভাবে গঠিত সিট সেই মোতাবেক আজ বুধবার রামপুরহাট পান্থশ্রী গেস্ট হাউসে সিটের সাত প্রতিনিধিদল উপস্থিত হন।
উল্লেখ্য একদা এখানেই সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর শৌচালয় থেকে লালন সেখ এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে ৭ জন সিবিআই আধিকারিকের নামে মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত লালন শেখ এর স্ত্রীর রেশমা বিবি।সেই মামলা চলে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে ৭জন সিবিআই আধিকারিকের সাথেই নাম জড়িয়ে ছিল বীরভূম জেলার গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের।বগটুই কান্ডের তদন্তের দায়িত্বে যারা ছিলেন না, এরকমও কয়জন সিবিআই এর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় সিবিআই কতৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন ভাবে সিট গঠন করে মৃত লালন সেখ এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেইমতো আজ সাত সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধিদল রামপুরহাট এসে পৌঁছেছেন। সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রী গেস্ট হাউসে সরজমিনে ঘুরে দেখেন এবং তদন্ত শুরু করেন, সাথে ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এক বিচারক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct