নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: পঞ্চায়েত গঠনের দুই মাসও হয়নি। এরই মধ্যে জোটের পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে পুলিশের সামনে বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই নিয়ে সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জোটের প্রধানকে হেরাসমান করার চেষ্টা বলে অভিযোগ জোটের।যদিও এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছুই বলতে চাননি।জানা যায়,এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা ৭ দফা দাবিতে পঞ্চায়েত প্রধান মৌসুমী দাস কে ডেপুটেশন দিতে যায়। পঞ্চায়েত প্রধানের কক্ষে পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্যের অনধিক ঢোকার নিষেধ করতেই তেতে উঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা।শু রু হয় তুমুল উত্তেজনা। পুলিশের উপস্থিতিতে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয় বলে খবর।এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মকরম আলি ও হরিশ্চন্দ্রপুর-১(এ) ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেন সহ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তৃণমূলের দাবিগুলি ছিল-অবিবাহিত সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যের সুপারিশ ছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে, রেসিডেন্টিয়াল সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যের সুপারিশের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে,সরকারি ত্রান বন্টনের ক্ষেত্রে সিক্স ম্যান কমিটি ছাড়া কোনো প্রকার তদন্ত বা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না ও গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধী দল নেতার জন্য দ্রুত অফিস ঘর করতে হবে প্রভৃতি। পঞ্চায়েত উপ প্রধান জুল মহম্মদ জানান, গত পাঁচ বছর তৃণমূলের দখলে পঞ্চায়েত ছিল। সেই পাঁচ বছর সে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তৎকালীন প্রধান এনিয়ম মানেননি। আজ তাদের দাবি স্থানীয় মেম্বারের সাক্ষর ছাড়াই প্রধানকে অবিবাহিত শংসাপত্র, বংশ তালিকা ও ওয়ারিশ শংসাপত্র দিতে হবে। স্থানীয় মেম্বারের স্বাক্ষর ছাড়া তা দেওয়া সম্ভব নয়।দলনেতা সেখ খলিলুর রহমান জানান, পঞ্চায়েতে একটি মাত্র টেন্ডার হয়েছে। এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি। প্রধানকে হেরাসমান করার জন্য তারা এই ধরনের ডেপুটেশন দিচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct