মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: শীতকালে গুড়ের স্বাদ বাঙালির কাছে মধুর সমান। আমাদের দেশে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি হয়। বছরের শেষে গুড় দিয়ে তৈরি পিঠে, পুলি,পায়েস,মিষ্টি তৈরি করে। খেজুর গাছ কাটার ওপরও রস সংগ্রহ অনেকটা নির্ভর করে।অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি গাছ পরিষ্কারের কাজ শুরু করতে হয়।গাছ পরিস্কার করার পর পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন গাছ কাটতে হয়।যাতে গাছে রস নিঃসরণ শুরু হয়।কোনো কোনো গাছ কাটা শুরুর তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই রস নিঃসরণ শুরু হয়।এরপর কাটা অংশের যেখানে রস নিঃসরণ শুরু হয়, সেখানে বাঁশের কাঠির গাছে ঢুকিয়ে দিতে হয় কাঠির মধ্য দিয়ে রস ফোঁটায় ফোঁটায় গাছের ঝুলন্ত হাড়িতে জমতে থাকে। তবে গাছ একবার কাটলে তিন থেকে চারদিন রস সংগ্রহ করা যার এবং পরবর্তী দুই থেকে তিনদিন গাছ শুকাতে হয়।একটি গাছে থেকে দৈনিক ১০লিটার রস পাওয়া যায়।রস সংগ্রহের পর প্রতিবার হাঁড়ি ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে সন্ধ্যার সময় খেজুর গাছ ঝুলিয়ে দিয়ে আসতে হয়। চাপড়া থানার গাছা এলাকায় এক খেজুরে গুড় বিক্রেতা জানায় ভোরের দিকে খেজুর গাছে ওঠে প্রত্যেকটা গাছ থেকে হারি নামিয়ে একই জায়গায় জড়ো করে এলমনিয়ামের নৌকায় করে রস গুলি ৫ থেকে ৬ ঘন্টা আগুনে জ্বাল দিয়ে খেজুর রস ফুটিয়ে তৈরি হয় গুড়। নাকাশিপাড়া পাটিকাবাড়ি আজিত সেখ জানায় দিনের বেলার খেজুরের রসের গুড় ভালো লাগে না।সব থেকে রাতের দিকে খেজুর রসের গুড় ভালো লাগে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যেভাবে দাম বৃদ্ধি হয়েছে তাতে করে খেজুরের গুড়ের দাম একটু বেশি হবে। আমার ২০ খেজুর গাছ আছে আমার দুজন কাজ করি আমার দুজনের মজুরি না হলে চলবে না। আমার এবছরের ২০০ টাকা করে খেজুরের গুড়ের বিক্রয় করছি।আমাদের গুড় নেওয়া জন্য আগাম এলাকার বাসিন্দারা বলে যায় গুড় নেওয়ার জন্য।শীতে পড়তে খেজুর গুড়ের চাহিদা থাকে গ্রাম বাংলার মানুষ পিঠে শীতকালে শীতকালে ভালোবাসে বিশেষ করে খেজুরের গুড় দিয়ে রসগোল্লা, সন্দেশ সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি হয়। নদীয়া জেলার মাজদিয়া এলাকায় প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন খেজুরের গুড়ের হাট বসে যেখানে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ খেজুরের গুড় নিতে আস্তে দেখা যায়। মাজদিয়া এলাকার গাছি তারক মাঝি জানান বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেছে আগের তুলনায় অনেকটাই খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করতে পারি গাছের উপর উঠা বয়সটা বাড়ছে তো সেই কারণে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারি না। ৫ কেজি খেজুর গুড় তৈরি করি সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিয়া হয়ে যায়। আমাদের প্রজন্মেই শেষ। এখনকার ছেলেরা খেজুর গাছ কাটে না ।
তাদের একাজের প্রতি ইচ্ছা নেই আর কয়েক বছর পরে খেজুর গুড় তৈরি করতেন লেখা যাবে কারন একাজে অনেক কষ্ট করতে হয় শীত পড়তে খেজুর গাছ সিউড়ি কাটা হয় গাছে উঠে তার খেজুর গুড় তৈরি করতেন গেলে প্রদিন ভোরে রাতে ঘুম থেকে উঠে খেজুর গাছ উঠে গাছ থেকে মাটির হারি নামিয়ে নিয়ে আসতে হয় সব খেজুর রসে এক জায়গা রেখে আগুন জ্বাল দিতে সেটাকে গুড় তৈরি করে হয়। শীত পড়তে খেজুর গুড়ের চাহিদা অনেক বেশি এখন অনেক টাকা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় খেজুরের গুড়ের আব্দুল রহিম বিশ্বাস।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct