আপনজন ডেস্ক: সূর্যকুমার যাদব এমন প্রশংসা প্রথমবার শুনছেন না; কিছুদিন আগেই স্ট্রোক প্লের পরিধি আর ব্যাটসম্যানশিপের বিবেচনায় সূর্যকুমারকে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিং। এবার সূর্যতে মুগ্ধ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইনও তাঁকে তুলনা করেছেন একসময়ের সতীর্থ ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে। স্টার স্পোর্টসে সাবেক এই পেসার বলেছেন, ‘সূর্য মাঠে ৩৬০ ডিগ্রিজুড়ে রান করতে পারে, আমাকে সে ডি ভিলিয়ার্সের কথা মনে করিয়ে দেয়। তার “ভারতের ডি ভিলিয়ার্স” হওয়ার সব যোগ্যতা আছে।’ স্টেইন মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বোলারদের গতিই এগিয়ে রাখবে সূর্যকুমারকে, ‘সে এমন একজন ক্রিকেটার, যে বলের পেস কাজে লাগাতে পছন্দ করে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফ্লিকটা ভালো খেলে। পার্থ, মেলবোর্নের মতো পিচে বাড়তি পেস থাকবে। সূর্য পেস কাজে লাগিয়ে ফাইন লেগ দিয়ে রান করতে পারবে। ব্যাকফুটেও সূর্য অসাধারণ। তাকে অসাধারণ কিছু ব্যাকফুট ড্রাইভ খেলতে দেখেছি, ফ্রন্টফুটেও দারুণ কাভার ড্রাইভ খেলে সে। অস্ট্রেলিয়ায় পিচগুলো ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। অবশ্যই বিশ্বকাপে সূর্যর ওপর নজর রাখতে হবে।’ সূর্য মাঠের চারদিকে রান করেন। ল্যাপ শট, লেট কাট, আবার কিপারের মাথার ওপর দিয়ে র্যাম্প শট—সবই খেলতে পারেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। এমন সব আন অর্থোডক্স শট খেলতে খেলতে ব্যাকরণসিদ্ধ শটগুলোও ভুলে যাননি। মাঠের চারপাশে সব ধরনের শট খেলতে পারেন বলেই হয়তো স্টেইন, পন্টিংরা সূর্যকুমারের মধ্যে ডি ভিলিয়ার্সের ছায়া খুঁজে পান। ‘৩৬০ ডিগ্রি’খ্যাত সূর্য ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। চলতি বছর ভারতের হয়ে ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সূর্যকুমার, যেখানে তাঁর আসল মহিমা স্ট্রাইক রেটে, যা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো...১৮২.৩৫! এত স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার পরও গড়টা কমেনি—৩৯.৮৫। এই বছরে সূর্য ছক্কা মেরেছেন ৫২টি।ভারতের তো বটেই, এক বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে এত ওভার বাউন্ডারি মারতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। আইসিসি টি-টোয়েন্টি ক্রম তালিকায় বর্তমানে তিনি আছেন ২ নম্বরে। তাই বিশ্বকাপে তাঁর দিকে চোখ রাখতেই হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct