সুব্রত রায়, হুগলি, আপনজন: হুগলি জেলার জাতীয় সড়কের দুই ধারের হোটেল গুলিতে নজর নেই প্রশাসনের। এমনটাই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের ।সিঙ্গুর,চন্ডীতলা,হরিপাল,দাদপুর ও গুড়াপ থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর হাইওয়েজের দুপাশে যে সব হোটেল ও ধাবা গুলো রয়েছে তাতে প্রতিনিয়ত ঘটে নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা। অভিযোগ হল সেই সব কয়েকটি হোটেল ও ধাবায় অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন কর্মচারীরা।এইসব কর্মচারীদের সঠিক পরিচয় কি তার খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন না হোটেল বা ধাবার মালিকেরা। এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দা ও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। যা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে।সূত্রের খবর, বেশ কিছু হোটেল ও ধাবার কর্মচারীরা বেশ কিছু বিশেষ বিশেষ হোটেলে ও ধাবায় কাজে লিপ্ত হয়।যাদের সঙ্গে হোটেলের বা ধাবার মালিকদের স্থানীয় থানার বা প্রশাসনের কিছু কর্মীর যোগসাজোশ রয়েছে বলে অভিযোগ।ফলে এই হোটেলে বা ধাবায় কর্মীর ছদ্মবেশে কাজ করলে অপরাধীদের চিন্তার বা সন্দেহের কোন কারন থাকে না। সম্প্রতি হরিপাল,সিঙ্গুর,চন্ডীতলা থানার এলাকায় বেশ কয়েকটি ধাবায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।তাতে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ,এই সব হাইওয়েজের ধারে হোটেল ও ধাবার কর্মচারীরাই যুক্ত।তাদের ওপর নজরদারি নেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের।অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারির প্রয়োজন। এই নজরদারির অভাবের ফলে বেশ কিছু সমাজবিরোধীচক্র প্রতিনিয়ত ওই জাতীয় সড়কের ধরে থাকা হোটেল ও ধাবাগুলিতে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করছে। শুধু তাই নয় দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে, মাদকের কারবার এবং মদের কেনা বেচা চলছে অবাধে। হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ধাবা ও হোটেল গুলিতে প্রতিনিয়ত পুলিশের নজরদারি চলে। মাঝেমধ্যেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। আটক হয় সমাজবিরোধীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct