মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: রামকৃষ্ণ ,স্বামী বিবেকানন্দ মা সারদা দেবী জাতি ধর্ম বর্ণের উর্দ্ধে মানুষের কথা বলেছেন। তাদের কাছে হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রিষ্টান বলে কিছু ছিলনা। তারা মানবতার কথা বলে গেছেন। বর্তমান যুগের সব চেয়ে বড় সমস্যা সাম্প্রদায়িকতা ।তার বিরুদ্ধে গিয়ে রামকৃষ্ণ দেব সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে গেছেন । স্বামী বিবেকানন্দ সর্বদা সম্প্রীতির কথা বলে গেছেন । জাত পাতের উর্দ্ধে মানুষকে ভালোবাসা কথা বলেছেন। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের বেরুগ্রাম গ্রামে বেরুগ্রাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও সম্প্রীতি সভায় এই বিষয়ে আলোকপাত করা হয় । বেরুগ্রাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম এর মঠাধক্ষ্য স্বামী ভাস্করানন্দ এবং সভাপতি কালি শংকর মজুমদার বলেন বাৎসরিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলারতি,রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ তারপর হয় প্রভাত ফেরী। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে প্রভাত ফেরী শুরু হয়। শঙ্খ ও উলুধনী সহ ঢাক ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে। তারপর একে একে বিশেষ পূজা এবং হোম,গীতা পাঠ,ভক্তিগীতি,যোগব্যায়াম,গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । দুপুর দুটো থেকে শুরু হয় সম্প্রীতি সভা অংশ নেন কলকাতার বালিগঞ্জের রামকৃষ্ণ সাধন কুঠিরের মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী অর্থবোধানন্দ ,জয়রামবাটী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ মহারাজ,বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী শ্যামসুন্দর সেন, গৌতম ঘোষ,বিশিষ্ট সমাজসেবী ও দক্ষিণ দামোদর প্রেস ক্লাবের সম্পাদক মোল্লা সফিকুল ইসলাম, সেবাশ্রমের সম্পাদক অজিত কুমার হাটি, বিশিষ্ট সমাজসেবী মৃত্যুঞ্জয় পালিত সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠান থেকে জয়রাম বাটি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ সম্প্রীতির বার্তা দেন। তিনি বলেন, আমাদের হৃদয় কে বড় করতে হবে। মা সারদা দেবী বলে ছিলেন আমি শরতের ও মা আর আমজাদের ও মা ।তারা কোনো বিভেদ করেননি তাহলে আমরা কেন বিভেদ করবো। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী দুর্গা শিব রায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct