নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: সরকারি জমি দখল কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে।পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসী।যদিও পুলিশ লাঠি চার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠলো হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হাই স্কুল পাড়ার নয়াটোলা গ্রাম এলাকা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই গ্রামে ১৮ বিঘার একটি সরকারি খাস জমি রয়েছে।যে জমি তে চরক মেলা হত।এখনো চড়কের সময় পুজো হয়।হরিশ্চন্দ্রপুর বুড়ো মশান মন্দির কমিটির অধীনেই ছিল সেই জমি।গ্রামের কৃষকেরা জমিগুলো চাষ করে জীবিকা উপার্জন করে।অভিযোগ,স্থানীয় জমি মাফিয়া কৃষ্ণ মহালদার,বিনোদ মহালদার ও কানাই মহালদার নামে তিন ব্যক্তি ওই জমির মধ্যে ছয় বিঘা জমি অবৈধ ভাবে নিজেদের নামে রেকর্ড এবং রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে।গ্রামবাসীরা এদিন সকালে ওই জমিগুলো চাষ করতে গেলে কৃষ্ণ মহালদাররা বাধা দান করে।তারপরে বিবাদের সূত্রপাত।শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌছাঁলে পুলিশকেও ঘেরাও করে রাখে গ্রামের মানুষ।শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।আক্রান্ত হয় পুলিশ।পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।আহত হয় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। এরপর ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় জমি মাফিয়ারা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দীর্ঘক্ষণ পর ওঠে অবরোধ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ যারা জমি দখল করে রেখেছে তারা তৃণমূল কর্মী।তাই তারা এত প্রভাব বিস্তার করতে পারছে।যদিও তৃণমূলের দাবি কৃষ্ণ মহালদার বিজেপির বুথ সভাপতি।বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোন সম্পর্ক নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন,’উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশকে ঘেরাও করে রাখে।তবে লাঠিচার্জ করা হয়নি। দুই পক্ষকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হল।অভিযোগ হলেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিক ভিক্টর সাহা জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct