রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: প্রখর রোদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে ডিউটি করাই ওদের কাজ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যান চলাচল স্বাভাবিক সহ যাবতীয় কাজই করেন পুলিশ কর্মীরা। বিভিন্ন কাজ নিয়ে ওরা কখনো কখনো শাসক দল, আবার কখনো বিরোধীদের আক্রমণের অস্ত্রও হয়ে ওঠেন। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। অন্যান্য সময়ের মতো রমজান মাসেও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ের মধ্যেই ডিউটিরত পুলিশকর্মীরা। কেউ পেশাগত ভাবে সিভিক ভলেনটিয়ার আবার কেউ হোম গার্ড কিংবা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। অন্যান্য বছরের মতো মতোই এবছরও কড়া রোদকে উপেক্ষা করেই ডিউটি করেই রমজান মাসের রোজা পালন করছেন তারা। ইফতারির মুহূর্তেও প্রস্তুতির মাঝেই চলছে ডিউটি। আবার সময় হলেই সন্ধ্যায় রাস্তার ধারে যে কোনো প্রান্তে বসে খেজুর, জল, কলা নিয়ে বসে পড়ে ইফতারী করছেন পুলিশ কর্মীরা। রবিবার এমনই চিত্র ফুটে উঠলো ক্যামেরায়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সামসেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় একদল পুলিশ কর্মী জাতীয় সড়কে ডিউটি চলাকালীন সময়েই ইফতারের সময় হয়ে আসতেই তড়িঘড়ি গাড়ি থেকে নামছেন। তারপরেই জাতীয় সড়কের পাশেই থাকা একটি ফাঁকা জায়গায় বসে পেপার পেতেই ইফতারী করছেন তারা। পাশাপাশি আরো একটি ছবিতে কার্যত রোজা ইফতারের শেষ সময়ে হাতে মেসওয়াক নিয়েই রাস্তায় ডিউটি করে যাচ্ছেন সিভিক ভলেনটিয়াররা। ডিউটির মাঝে শত কষ্টের পরেও পুলিশ কর্মীদের এমন ত্যাগকে স্যালুট জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন একই সময়ে ডিউটি নয়, কোনোদিন সকালে তো আবার কোনোদিন বিকেলে ডিউটি করতে হয়। আবার সন্ধ্যা কিংবা রাতে ডিউটি করলেও রমজানের ৩০ টি রোজা পালন করবেন তারা। এক সিভিক ভলেনটিয়ার ফারুক হোসেন জানান, রোজা আল্লাহর নির্দেশ। আমরা শত কষ্ট হলেও ডিউটির মাঝেই রমজানের রোজা করি। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে ইফতারির সময় হলেই সকল পুলিশ কর্মী রাস্তার ধারের যে কোনো প্রান্তে বসেই ইফতার করি। কোনো অসুবিধা হয়না। আগামিদিনেও সম্পূর্ণ রোজা করবেন বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct