আপনজন ডেস্ক: অসমে এখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে। কিন্তু সমস্যা পড়েছিলেন অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশের পর যাদের নাম বাদ গিয়েছিল তারা। এ ব্যাপারে অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার অসম সরকারকে এক নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদেরকে অবিলম্বে ‘রিজেকশন স্লিপ’ ধরিয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় নাম তুলতে অসমে মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদন পড়েছিল। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত দফায় ১৯ লাখের বেশি মানুষের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। অর্থাৎ তারা ভারতের নাগরিক নন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরিা প্রায় সবাই বাঙালি। তার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যাই বেশি। এসব বাদ পড়া মানুষকে অবিলম্বে ‘রিজেকশন স্লিপ’ ধরিয়ে দিতে আসাম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ
এছড়া, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ৫ বছর মেয়াদি এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের মোট খরচ হয়েছে ১২২০ কোটি টাকা। ২৩শে মার্চ অসমের স্বরাষ্ট্র সচিব এসআর ভুইয়ার কাছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (আরজিআই) অফিস একটি চিঠি লিখেছে।
এতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩১ শে আগস্ট নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে যাদেরকে বাদ দেয়া হবে বা যাদেরকে এতে সংযুক্ত করা হবে তার একটি সম্পূরক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এনআরসি থেকে যাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদেরকে এখনও রিজেকশন স্লিপ দেয়া শুরু হয়নি। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল, এনআরসি থেকে কোন ব্যক্তির নাম বাদ পড়া মানে এই নয় যে, তাকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তাদেরকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সুযোগ দেয়া হবে। সেই সুযোগে তারা তাদের ঘটনাগুলোকে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তুলতে পারেন। এ জন্য সময় ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়।
উল্লেখ্য, অসম একমাত্র রাজ্য যেখানে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct