মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পূর্ব বর্ধমান জেলার তথা রাজ্যের গর্ব হতে চলেছে পার্কাস রোডের খুব সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সেখ আব্দুল আমিন । ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক সাফল্য অর্জনকারীদের মধ্যে একেবারে প্রথম দিকে স্থান করেছে আমিন। এই তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো ৩৯ জন ঠাঁই পেয়েছিলেন এই তালিকায়, যাদের মধ্যে আমিনই সর্বকনিষ্ঠ এবং সেই ই একমাত্র ছাত্র, বাকি ৩৮ জনই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আমিনের আব্বা সেখ আব্দুল আলিম পেশায় এক সাধারণ কর্মচারী। মা ফিরোজা বেগম কাজ করেন পৌরস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র আমিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এ ভালো রেজাল্ট করে। পরিবারের অনটনে এক সময় পড়াশুনায় বন্ধ হওয়ার অবস্থা তৈরী হয়। কিন্তু তার উদোম্য, ইচ্ছা ও পিতা আলিম সাহেবের একনিষ্ঠ ধর্য্য ই তাকে আজ এই জায়গায় আসতে সাহায্য করেছে। ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল আমিন কে মর্যাদাপূর্ণ সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ প্রদান করে ছিলো বলেই সে গবেষণার কাজ করার সুযোগ পেয়েছে বলে আমিন জানাই ।
আমিনের গবেষণার কাজের যথাযত মূল্য দিয়ে তাকে আগামী বছর আমেরিকার লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত ফার্মা আর আন্ড ডি সম্মেলনের (পঞ্চম সংস্করণ) বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর আগেও ডাক পেয়েছিলো প্যারিস, ডেনমার্ক থেকে। গত বছর উপযুক্ত সময়ে ভিসা না পাওয়ার জন্য ইউরোপের এক আলোচনা সভাতে ডাক পেয়েও যেতে পারেনি। তার গবেষণার কাজ মূলত ক্যানসার নিয়ে। গণনামূলক রাসায়নিক জীববিজ্ঞান এবং অনুর আকারের গঠন-ক্রিয়াকলাপের সম্পর্ক বিশ্লেষণ সহ ছোট অণুর নকশা এবং সংশ্লেষণ নিয়ে কাজ করেন। আমিন বিভিন্ন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক/জাতীয় জার্নালে তার বিরানব্বই টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া চারটি বইয়ের অধ্যায় লিখেছেন। এটা অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। এতো গুলো গবেষণা নিবন্ধ অনেক অধ্যাপকেরও নেই । সেখ আব্দুল আমিন তার নির্দিষ্ট লক্ষে আগিয়ে চলেছে। গরিব ঘর থেকে পড়াশুনা করে সাফল্য পাওয়া যায় তার জলন্ত প্রমান আমিন ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct