আপনজন ডেস্ক: যেকোনো দেশের ক্রিকেটারদের জন্যই আইপিএল আরাধ্য স্বপ্ন। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ডের মতো ‘ধনী’ দেশের আকাশচুম্বী বেতন পাওয়া ক্রিকেটাররাও খেলতে চান আইপিএলে। কারণ, ভারতের এই ফ্র্যঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে পারিশ্রমিক আর সুযোগ-সুবিধার মাত্রাটা অন্য পর্যায়ের। পারলে তো অনেক ক্রিকেটার দেশের হয়ে না খেলে আইপিএল খেলতে চলে যান। এখন পর্যন্ত এই লিগ বিশ্বের সবচেয়ে অর্থকরী টুর্নামেন্ট হিসেবে পরিচিত। টাকা-পয়সা পরিশোধের ব্যাপারেও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সুনাম আছে। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের টাকা মেরে দেওয়া কিংবা টাকা পরিশোধে গড়িমসির সংবাদ পাওয়া যায়নি বললেই চলে।
কিন্তু সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ব্র্যাড হজের কথা সত্য হলে আইপিএলের মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। হজ এক টুইটে জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে আইপিএলের অধুনালুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচি টাসকার্সের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত নিজ পারিশ্রমিকের বেশ খানিকটা পান তিনি।
২০১১ সালে কোচি টাসকার্সের হয়ে খেলেছিলেন হজ। কিন্তু সেবারের পারিশ্রমিকের ৩৫ শতাংশ এখনো পাননি তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘২০১১ সালে কোচি টাসকার্সের হয়ে খেলেছিলাম। এখনো ৩৫ শতাংশ অর্থ বাকি আছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কি সেই অর্থ দিয়ে দিতে পারবে?’
এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল। বিসিসিআইয়ের বারবার তাগাদা সত্ত্বেও নিয়মানুযায়ী ১০ শতাংশ ব্যাংক নিশ্চয়তার অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
বিসিসিআই মালিকপক্ষের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলারও অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। এরপর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আইপিএল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি ভারতীয় বোর্ড এই দলে খেলে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদেরও মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিল। কেবল হজই নন, বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার, এমনকি ভারতীয় ক্রিকেটাররাও প্রাপ্য অর্থ বুঝে পাননি। কোচি টাসকারর্স পরবর্তী সময়ে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা করে। সে মামলার রায়ে বিসিসিআইকে ৫৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকেরা বিসিসিআইকে ক্ষতিপূরণের বদলে তাদের আবার আইপিএলে খেলতে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। তবে বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct