আপনজন ডেস্ক: বিজেপি বিধায়ক কেতকী সিং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিউ বালিয়া মেডিক্যাল কলেজে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক শাখা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাঁশডিহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কেতকী সিং বলেন, সম্ভলের এক সাহসী পুলিশকর্মী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বছরে ৫২টি জুম্মা (শুক্রবার) হয়, কিন্তু হোলি বছরে একবারই আসে। তাই ভাবলাম ভুল করে কিছু হয়ে গেলে কিছু রং ছিটিয়ে দিলে এই কান্নার দল রাস্তায় নেমে আসবে। ... আমার মনে হয়, ওঁরা যদি আমাদের লোকেদের এতই ভয় পান, তা হলে বালিয়ায় যে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হচ্ছে, সেখানে তাঁদের জন্য আলাদা পুলিশ তৈরি করা হল না কেন? মুসলিমদের জন্য পৃথক চিকিৎসা কেন্দ্র হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন,
আপনারা নিশ্চয়ই ইন্টারনেটে ভিডিও দেখেছেন, ফলের গায়ে থুতু ফেলছেন, সবজিতে থুতু ফেলছেন, প্রস্রাব মেশাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি, তাদের জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তাঁরা মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা পেতে পারেন। এর আগে উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বালিয়ায় একটি নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে।
পাঠক এএনআইকে বলেছিলেন যে এটি জনগণের এবং বালিয়ার বিধায়কের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালিয়ার মানুষ ওই এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজের দাবি জানিয়ে আসছেন।
বালিয়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী দয়াশঙ্কর পাণ্ডেও ওই এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বালিয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে। আমরা জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে এই প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে চলেছি। এদিকে, বিধায়ক কেতকী সিংয়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেছে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।
সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র তথা সমাজবাদী পার্টির মহিলা শাখার নেত্রী জুহি সিং প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করবে নাকি দূরে রাখবে?
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক যে সরকার বলছে যে মেডিক্যাল কলেজের নামকরণ করা হবে মহান বিপ্লবী চিট্টু পাণ্ডের নামে এবং সেখানকার বিধায়কের নামে, যিনি বালিয়ার ইতিহাস জানেন না এবং চিট্টু পাণ্ডের আদর্শও জানেন না।
তারা এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ধরনের মানুষদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার কোনো সাহায্য বা সামর্থ্য নেই এবং সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এই ধরনের মানুষদের বিধানসভায় যাওয়ার কোনও অধিকার নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct