সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: গত সপ্তাহে মহানগর কলকাতা দেখেছিল বিজেপির নবান্ন অভিযান। এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার কলকাতা সাক্ষী থাকল আরও এক বড় রাজনৈতিক সভার। কার্যত বিজেপির নবান্ন অভিযানের ভিড়কে ছাপিয়ে গেল সুদীপ্ত, মইদুল, আনিসের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে ডাকা বাম ছাত্র যুবদের এদিনের সভা। মঙ্গলবার সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ধর্মতলায় ‘ইনসাফ সভা’র ডাক দিয়েছিল। সেখানে যেমন আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন ছাত্র যুব নেতারা। তেমনই বর্তমান রাজ্য সরকারের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন বাম নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বেকারত্ব, দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়েও সুর চড়িয়েছেন বাম নেতারা।মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বাম ছাত্র যুবরা এসে প্রথমে নামেন শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে। এর পর সেখান থেকে একে একে মিছিল করে বেরোতে থাকে ছাত্র যুবরা। আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্তর কাট আউট, মুখোশে হাঁটল বাম ছাত্র যুবরা। উপচে পড়া ভিড়ের সাক্ষী থাকল শহর। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এবং এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ বহু বাম নেতা নেত্রী। উপস্থিত ছিলেন নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানও।মঙ্গলবার সভা থেকে সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তৃণমূলকে নিশানা করেন। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নিহত ছাত্র আনিস, সুদীপ্তদের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সরব হন। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সভা শুরুর আগে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দুপুরে সূর্যের তেজের সঙ্গে সভার মেজাজের তুলনা করেছিলেন। বাস্তবিক সেইরকমই সভার সাক্ষী থাকল মহানগর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct