আপনজন ডেস্ক: অযোধ্যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া বাবরি পরিবর্ত জমি তাদের দাবি করে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা সোমবার খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, অযোধ্যার ধাননিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেওয়া বাবরি মসজিদের পরিবর্ত জমিতে ইতিমধ্যে নতুন মসজিদের সূচনা হয়েছে। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ-রামমন্দির স্থান থেকে বেশ খানিকটা দূরে এই ধাননিপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই পাঁচ একর জমি উত্তরপ্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বাবরি মসজিদের পরিবর্ত জমি হিসেবে তুলে দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। এই ওয়াকফ বোর্ডই ওই জমিতে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দায়িত্ব অর্পণ করেছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের উপর।
এই ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন সেখানে শুধু মসজিদ নয়, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার ও ইন্দো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারও গড়ে তোলা হবে। পুরো স্থাপত্যের দায়িত্বে রয়েছেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম আখতার। সম্প্রতি সেখানে মসজিদের শিলান্যাসও হেয় গিয়েছে। সেই সময় ওই পাঁচ একর জমির মালিকানা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি মামলা সামনে এল য়েখানে দুই অমুসলিম মহিলা ওই জমি তাদের বলে দাবি করলেন। দিল্লি ভিত্তিক দুই মহিলা রানি কাপুর ওরফে রানি বারুজা এবং রমা বারি পাঞ্জাবি রিট পিটিশনে দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে তাদের বাবা জ্ঞান চন্দ্র পাঞ্জাবি দেশ ভাগের সময় পাঞ্জাব থেকে ফইজাবাদ (বর্তমান অযোধ্যা)-এ এসেছিলেন। সেসময় নাজুল বিভাগ ধাননিপুর এলাকায় ২৮ একর জমি তার বাবার নামে বরাদ্দ করেছিল। রাজস্ব দফতরে তার বাবার নামে রেকর্ডও আছে। ওয়াকফ বোর্ডেকে বরাদ্দ করা পাঁচ একর জমি তার মধ্যেই পড়েছে। সেই জমির অধিকার দাবি করে ৩ ফেব্রুয়ারি ওই দুই মহিলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। সেই আর্জি সোমবার খারিজ করে দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় ও মনীশ কুমার। সেই সঙ্গে তাদের আইনজীবীকে এই আর্জি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, প্রকৃত ঘটনা না জেনে এটি একটি নিন্দাজনক প্রচেষ্টা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct