রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: এগিয়ে যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ, পথ দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদ। ১৪ই আগস্ট কলকাতার নজরুল মঞ্চে কন্যাশ্রী দিবসে পুরষ্কৃত করা হলো মুর্শিদাবাদের ৩ জন সাহসী কিশোরীকে। প্রথম জন হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত পদ্মনাভপুর গ্রামের পারুলিয়া খাতুন। উল্লেখ্য পারুলিয়া খাতুন দশম শ্রেণীর পড়ুয়া তখন তার বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করা হয় আর্থিক অনটনের কারণে কিন্তু সে রাজি না থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিনি ও ব্লক আধিকারিক দের সহায়তায় নিজের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করে। এরপর সে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেয়, বর্তমানে নিজে গ্রামের মেয়েদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এভাবেই সে নিজে ও অন্যান্য মেয়েদের করে তুলছে আত্মবিশ্বাসী। দ্বিতীয় জন রেজিনগরের টাকিপুর উত্তরপাড়ার মেয়ে হাসিনা খাতুন। সে নিজের বাল্য বিবাহ তো নিজেই বন্ধ করেছে শুধু তাই নয় এখন অবধি দুইজন এর নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেছে সিনি ও গ্রাম স্তরীয় শিশু সুরক্ষা কমিটির সহযোগিতায়। কিশোরীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে এবং যাদের কম বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তাদের অন্বেষা ক্লিনিক এ নিয়ে গিয়ে সময়মত সুপরামর্শ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তৃতীয় জন কণ্যাশ্রী নওদা থানার অন্তর্গত শব্দেরনগর এর উল্লাসপুর গ্রামের সহেলি মন্ডল। ঝাউবোনা হাইস্কুলের সহেলি এখনো অবধি ৩ টিরও বেশি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করেছে সিনি ও ভিএলসিপসি সহযোগিতায়। এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিনির এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর জয়ন্ত চৌধুরী মহাশয় বলেন “ আজ ভীষন গর্বের দিন, আমাদের মুর্শিদাবাদ থেকে ৩ জন সাহসী কন্যাকে জানাই অসংখ্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আমাদের জেলায় যেভাবে বাল্যবিবাহ বেড়ে চলেছে সেখানে এইসব কিশোরীদের উদ্যোগ আজ অনস্বীকার্য। এরসাথে বলবো আমাদের গ্রাম স্তরীয় শিশু সুরক্ষা যে কমিটি গুলো রয়েছে তাদের প্রত্যেক সদস্য যেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ও বাল্য বিবাহ হলে যে আইনগত ভাবে কি শাস্তি হয় সেটাও প্রচার করতে হবে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct