আপনজন ডেস্ক: করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। প্রায় দশ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিচ্ছেন। ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে বুধবার শুরু হয়েছে এই আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার হাজিদের গন্তব্য হবে মিনা। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রখর গরম এড়াতে অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছেন। বৃহস্পতিবার হাজিরা মক্কা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মিনায় যাত্রা করছেন। সেখানে রাতে তারা অবস্থান করবেন আর শুক্রবার আরাফাত ময়দানে সমবেত হবেন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে। এই ময়দানেই মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। হাজিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মক্কা ও মদিনায় হাজিদের জন্য ২৩টি হাসপাতাল ও ১৪৭টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছে। এছাড়া মিনাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্য প্রায় এক হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। এই বছর হজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় দশ লাখ মুসলিম। পূর্ণ টিকা নেওয়া এসব মুসলিমের মধ্যে প্রায় সাড়ে আট লাখই বিদেশি নাগরিক। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দুই বছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের পর এবারই বড় পরিসরে তা আয়োজিত হতে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজে যোগ দেয়। তবে পরের বছরগুলোতে মহামারির কারণে আকার সীমিত করতে হয়। ২০২১ সালে মাত্র সৌদি আরবের মাত্র ৬০ হাজার টিকা নেওয়া বাসিন্দা হজের সুযোগ পায়। ২০২০ বছর তার চেয়েও কম সংখ্যক মানুষ সেই সুযোগ পায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct