সুব্রত রায়, হাওড়া, আপনজন: নতুন স্বপ্ন ,নতুন শিল্প ,নতুন আলোর পথ ,বাংলার মাটি দেখাবে আবার ভারতের ভবিষ্যৎ..... এইরকমই মিরাক্কেল ঘটাতে চলেছেন হাওড়ার অতনু ঘোষ। তিনি বিগত কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একটি মানব যন্ত্র। এই মানব যন্ত্রের নাম দিয়েছেন তিনি 'কীর্তি'। উদ্দেশ্য শিল্পজগতে বিশেষত ক্ষুদ্র শিল্পে আগামী দিন এই রোবট তথা মানব যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে নতুন দিক উন্মুক্ত করা। শুধু অতনু ঘোষ একা নন, তার সঙ্গে সহযোগী যারা রয়েছেন তারা হলেন তাপস রায়, হিমাংশ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। তবে অতনু ঘোষ এই প্রথম মানব যন্ত্র তৈরি করলেন তা নয়, তিনি ১৯৭৯ সালেও একটি রোবট তৈরি করেছিল ।শুধু তাই নয় ১৯৭৬ সালে গাড়ির গতি মাপার বিশেষ যন্ত্র তৈরি করে সারাদেশে বিজ্ঞান প্রদর্শনী সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তার সেই আবিষ্কার দেখে তৎকালীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে দিল্লির বাসভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
তিনি তখন হাই সেকেন্ডারির ছাত্র। বাবার হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লির ১০ জনপথ রোডে। তার বাবা ছিলেন একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার। সেখানে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তার । অতনু বাবুর দাবি সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি উৎসাহিত হয়ে একটি রোবট তৈরি করেছিলেন। এবারও তিনি একটি মানবযন্ত্র তৈরি করেছেন। তবে এই মানব যন্ত্রটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে দেখুন এবং প্রয়োজন হলে শিল্পে ব্যবহার করুন বা চিকিৎসকদের সাহায্যে এই রোবটটি ব্যবহার হোক এটিই চান অতনু ঘোষ । তবে কীর্তিকে আরো অত্যাধুনিক করতে গেলে যা যা যন্ত্রের প্রয়োজন তা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই সরকারি সাহায্য পেলে তিনি তা করতে পারবেন আশা অতনুবাবুর। আপাতত 'কীর্তি' অতনু বাবুর বাড়ির ছাদে তার রিমোট কন্ট্রোলে ডান দিক থেকে বাঁ দিক অথবা বাঁদিক থেকে ডান দিক অনায়াসে যাতায়াত করছে সর্বত্র ।আবার রিমোর্টে সুইচে হাত পরলে লাট্টুর মত মাথা ঘোরাচ্ছে অনবরত। এই রোবট দেখতে এখন হাওড়ায় প্রতিদিন প্রচুর ভিড় হচ্ছে অতনু ঘোষের বাড়িতে। অতনু বাবু আবশ্য প্রহর গুনছেন কখন নবান্ন থেকে তার এই রোবট দেখতে আসবেন আধিকারিকরা ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct