নিজস্ব প্রতিবেদক, তমলুক, আপনজন: তমলুক সাংগঠনিক জেলায় নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা, কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি।অপর দিকে সুতাহাটা ব্লকে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে,এক কর্মী অকপটে বলে ফেলেন ১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দান কারীদের কাছে ৯৮ সালে দলকরা নেতৃত্ব দের নতুন করে তৃণমূল দলকরা শিক্ষতে হচ্ছে,নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি হিসেবে বাপ্পাদিত্য গর্গ ও ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি হিসেবে অরুণাভ ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্ব।এই ২ জনকে ব্লক সভাপতি মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা,কর্মীদের একাংশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাপতি ও তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের বাড়িতে বৈঠক করেন বিক্ষুব্ধরা।সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা,কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ সুফিয়ান
তৃণমূলের অন্দরের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরেও ব্লক স্তরেও রদবদল করেছে তৃণমূল। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত না বদল করলে,দলত্যাগেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা পরিতোষ জানার কথায়, আজ আমাদের কাছে কালা দিন,যেভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, গতকাল নতুন যে ২ জনের নাম ঘোষণা করেছে, তাঁদেরকে আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। এরা হচ্ছে বিজেপির হয়ে কাজ করত,দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ১ সপ্তাহ সময় দিচ্ছি, প্রয়োজন হলে দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্দল হিসেবে চালাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ তৃণমূল নেতা ও সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানে দাবি, কর্মীদের ক্ষোভ স্বাভাবিক,আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নন্দীগ্রামে আন্দোলনকারী প্রথম থেকে রয়েছি। রাজ্য কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে নেবে, যাঁদের করা হয়েছে তারা বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রাচীরের বাইরে ছিল।একদিনই নন্দীগ্রামেই আবার উল্টো ছবিও ধরা পড়েছে। একদিকে যখন নতুন ব্লক সভাপতিকে সরানোর দাবিতে, শেখ সুফিয়ানের বাড়িতে বৈঠক করছেন দলের একাংশ। অন্যদিকে তখন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের পার্টি অফিসে,নতুন সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে সংবর্ধনা জানাতে উচ্ছ্বাসে মাতলেন দলের নেতা-কর্মীরা। মিষ্টি বিলি হয়, ব্লক সভাপতি নিয়ে আপত্তি জানাল দলের একাংশ। যা নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার। সেখানে কারও কারও হয়ত মনান্তর হয়েছে,কিন্তু মতান্তর নেই।আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।এই বিষয়ে রাজ্য কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct