সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে , ভাঙড়, আপনজন: প্রায় এক দশক আগে থেকেই ভাঙড়ের তাড়দহ, বামনঘাটা, ব্যাঁওতা ১ নম্বর ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা গুলি কলকাতা পুলিশের লেদার কমপ্লেক্স থানায় আওতায় ছিল। প্রায় এক বছর হতে চলেছে গোটা ভাঙড়ের ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাই কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আপাতত ৫ টি থানায় ভাগ করা হয়েছে ভাঙড় ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লক কে। আরো চারটি থানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তৈরি হয়েছে আলাদা করে ভাঙড় ট্রাফিক গার্ড। তারপরও দখলমুক্ত হয়নি ভাঙড়ের রাস্তা।
আপনজন প্রতিনিধি সম্প্রতি ভাঙড় ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন। সেখানে দেখা যায় গ্রামের রাস্তা গুলিতে আগের মতোই গরু-ছাগল বাঁধা, কাঠ রাখা। মূল রাস্তা গুলিতেও বালি-পাথর রাখা, গাড়ি দাঁড় করানো। ফলে রাস্তা গুলি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হচ্ছে এবং দূর্ঘটনার ব্যপক আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ভাঙড়ের অন্যতম প্রধান রাস্তা ভাঙড়-লাউহাটি (রাজারহাট এলাকা) এই রাস্তার উপরেই কাশিপুরে দাঁড়িয়ে থাকে উত্তর কাশিপুর থানার সারি সারি গাড়ি। কাশিপুর কিশোর ভারতী বিদ্যালয়ের কাছে ব্যাঁকের মুখে রাস্তির কানা ঘেসে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ৩ বলা পূরানো বাড়ি। ব্যাঁকের মুখে বাড়ি থাকায় দৃশ্য মানতা কম এখানে। দুই দিক থেকে আসা গাড়ি চালকরা দেখতে পান না কোনো কিছুই। সর্বদা দূর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে এখানে। পোলেরহাটে এই রাস্তার উপরেই বাস স্ট্যান্ড। ফলে বাসগুলি রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। এখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এখানে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। ২ নম্বর ব্লকের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোজেরহাট-পাকাপোল রাস্তা। এই রাস্তার ভগবানপুরে মিক্সার প্লান্টের গাড়ি গুলিও সারি দিয়ে রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। আরো একটা মিক্সার প্লান্ট রয়েছে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকেরই খালপাড় রাস্তার ধারে (ক্যানেল রোড হাড়োয়ার কুল্টি থেকে কেষ্টপুর অবধি বিস্তৃত)। আপনজন প্রতিনিধি জানতে চাইলে এবিষয়ে মুঠোফোনে ভাঙড়ের জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মহম্মদ মালি বলেন, ‘রাস্তার উপর ইট বোঝাই লরি দাঁড়িয়ে থাকা, রাস্তার উপর বালি পাথর ফেলে রাখা খুবই বিপদজনক। আমি কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করবো এগুলো গুরুত্বসহকারে দেখুক আইনত ব্যবস্থা নিক।’ সাতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ সাঈদ মুঠোফোনে বলেন, ‘রাস্তার পাশে যে বড়ো বড়ো গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকে এতে দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। মুঠোফোনে চন্ডিহাট গ্রামের বাসিন্দা ইন্তিয়াজ মোল্লা বলেন, ‘সত্যিই এটি কিন্তু ব্যতিক্রমী সমস্যা। সাংবাদিক বন্ধুকে অশেষ ধন্যবাদ এরকম ব্যতিক্রমী সমস্যা তুলে ধরার জন্য। নিশ্চয় ট্রাফিক পুলিশের উচিত এটাকে দ্রুত সমাধান করা।’ মুঠোফোনে মাঝেরহাট গ্রামের বাসিন্দা মুজিবর রহমান বলেন, ‘মেইন রোডের উপর সারিবদ্ধ গাড়ি থাকায় জনজীবন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি গ্রামের ভিতরের রাস্তার দিয়ে চলা ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। আশা করব কলকাতা পুলিশ মেইন রোডে সারিবদ্ধ গড়ি সরিয়ে যানচলাচলে স্বাভাবিক করবেন,সঙ্গে গ্রামের রাস্তার উপর গরু ছাগল যেন না বাধে তার জন্যে দ্রুত কঠিন বাবস্থা নেবেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct