অমরজিৎ সিংহ রায়,বালুরঘাট,আপনজন: দোমুঠা এলাকার এক যুবক খুনের ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার অশোক গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দোমুঠা এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম মঞ্জুরুল হোসেন (২৬)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। পেশায় তিনি একজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। তাঁর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। সোমবার রাতে বাজার থেকে মোটর বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বেশ কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর বলেই অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের তরফে দেহটিকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পুলিশি মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বা ঘটনার পিছনে কি কারণ রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পুরনো বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।
এবিষয়ে মৃতের এক আত্মীয় জানান, মঞ্জুরুল গোয়াতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। গতকাল রাতে সাড়ে নটায় মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে কয়েকজন মিলে আটকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং তাঁর হাত-পা বেঁধে তাকে বেধড়ক মারে। ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবী করছি আমরা। এবিষয়ে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘এবিষয়ে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে। ঐ ব্যক্তি কে কেন মেরেছে সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তবে কারা মেরেছে তার একটি নামের তালিকা আমরা পেয়েছি। তাদের ধরার চেষ্টা আমরা করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct