অমরজিৎ সিংহ রায়,বালুরঘাট,আপনজন: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের মদনাহারে আদিবাসী পরিবারগুলির উপরে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকেরা আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ পেযে তপনে ওই পরিবারের সঙ্গে তেখা করেছিলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান থা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এবার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত দুমুঠো গ্রামের মনজুর ইসলামকে নৃশংসভাবে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে। মাসখানেকের বেশি হয়ে গেছে, মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তাই মৃত মনজুর ইসলামের বাড়িতে যান ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক মোহাম্মদ নওশাদ সিদ্দিকী’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। মৃতের পরিবারের অবিযোগ, প্রায় চল্লিশ দিন আগে মনজুর ইসলাম রাতে বাইকে চেপে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতি রাস্তা আটকে তাদের জোর করে একটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়। মনজুর ইসলামের ওপর চলে নির্মম অত্যাচার। কুড়ুল দিয়ে তাঁর হাত, পা ভেঙে দেওয়া হয়, বুকে ছিদ্র করে তাকে মেরে ফেলে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মৃতের বাবা ফইজুর আলি মিঞার হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। তিনি ক্রোধান্মিত জনতাকে আইনের উপর আস্থা রাখতে অনুরোধ করেন। তাঁর এই দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী তাকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের পর প্রায় চল্লিশ দিন কেটে গেছে। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল পাঁচজন অভিযুক্তকে ধরা হয়নি। বোঝা যাচ্ছে, পুলিশী তদন্ত শ্লথগতিতে চলছে। বিধায়ক মহঃ নওসাদ সিদ্দিকী দেখা করেন ফইজুর আলি মিঞার সঙ্গে। সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য মৃতের একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান আছে। ভবিষ্যতে তাদের শিক্ষার জন্য এবং এই হত্যাকান্ডের তদন্তের অগ্রগতির জন্য সমস্তরকম আইনী সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct