আপনজন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের জন্য সারা বিশ্বজুড়ে বাজার মন্দা। হাজার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে। অনেক জায়গায় পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ভালো চাকরি খুইয়ে এখন পথে বসতে হয়েছে। সেই রকম অবস্থা হয়েছে এক মালয়েশীয়র। মালয়েশিয়ায় করোনা সংক্রমণের প্রভাব থাকায় বিমান চলাচলে দীর্ঘদিন বন্ধ অতি জরুরি ছাড়া। তাই কাজ গিয়েছে বহু পাইলটের। এমন একজন পাইলট এখন জীবিকার তাগিদে ফুচকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়ে রাস্তার ধারে ফুচকা বিক্রি করা ওই পাইলটের নাম আজরিন মোহম্মাদ জাওয়ায়ি। দূর থেকে দেখলে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় তিনি একজন পাইলট। মাথায় কালো টুপি। গায়ে সাদা পোশাক। তবে এখন আর তার হাতে নেই উড়োজাহাজের কন্ট্রোলার। বরং রাস্তার পাশে বসেই বর্তমানে ফুটপাতের দোকানদার হিসেবেই মানুষের কাছে পরিচিত হচ্ছেন।
প্রতিদিন সকালে পাইলটের নিজের প্রিয় ইউনিফর্মটি পড়ে এভাবেই হাজির হন রাজধানি কুয়ালালামপুরের পাশের সুবাংজায়া শহরের ফুটপাতে। চলতি মাসেই মালয়েশিয়ার মালিন্দ এয়ার থেকে চাকরি হারানো এই পাইলটের দোকানের নাম ‘ক্যাপ্টেন কর্নার’। চাকরি যাওয়ার পর সংসার সামলাতে রাস্তার পাশে খাবারের দোকানই খুলে বসেছেন জাওয়ায়ি। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে দিশেহার হয়ে পড়েন চার সন্তানের জনক জাওয়ায়ি। সংসার খরচ চালানোর অন্য উপায় না দেখে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে শুরু করেন ‘ক্যাপ্টেন কর্নার ’ব্যাবসা।
পাইলটের পোশাক পরে নিজেই রান্না করেন নুডলস, ফুচকাসহ বিভিন্ন মালয়েশিয়ান ফুড। পরিবেশনও করেন ওই পোশাকেই। এরই মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন তিনি।
পরিবেশনও করেন ওই পোশাকেই। এ প্রসঙ্গে আজরিন জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে অনেক উড়োজাহাজ চালকেরই চাকরি চলে গেছে। তাদের মতো আমি একজন। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct