সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: দীর্ঘ ২৮ বছর পর পুলিশের তৎপরতায় নিজের পরিবার খুঁজে পেল মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি, খোঁজ পেতেই ওই ব্যক্তিকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উদ্ধার করে বাঁকুড়ার নিজের কোতুলপুরের বাড়িতে ফেরাল পরিবার । দীর্ঘ ২৮ বছর আগে তিনি ছিলেন ২৪ বছরের তরতাজা যুবক। সে সময়ই কোনোভাবে হারিয়ে যান তিনি। তারপর দীর্ঘ ২৮ বছর তার আর কোনো খোঁজই ছিল না। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই যুবক এখন প্রৌঢ়ত্বের দরজায় এসে খুঁজে পেলেন নিজের বাড়ি। কোতুলপুর থানার পুলিশ ও পরিবারের সহায়তায় অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে নিজের কোতুলপুরের বাড়িতে ফিরলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর গ্রামে বাবা, মা ও তিন ভাই বোনের মাঝেই বড় হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ পাইন। যখন তাঁর ২৪ বছর বয়স তখন তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় বর্ধমান শহরের এক চিকিৎসকের কাছে তাঁর চিকিৎসার জন্য যায় পরিবার। কিন্তু বর্ধমান থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বিশ্বজিৎ। সে সময় পরিবারের সদস্যরা সর্বত্র খোঁজ করেও বিশ্বজিতের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা কার্যত হতাশ হয়ে একসময় হাল ছেড়ে দেন। তারপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিশ্বজিৎ ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন বিশ্বজিৎ মারা গেছেন। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের এক মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক কোতুলপুর থানায় ফোন করে জানান বিশ্বজিৎ তাঁর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন বিশ্বজিৎই ওই চিকিৎসককে নিজের ঠিকানা দিয়েছেন। এরপরই বিশ্বজিতকে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। মদনমোহনপুরে থাকা বিশ্বজিতের দাদা প্রথমে বিশ্বজিৎকে চিনতে না পারলেও পরে চিনতে পেরে ভাইকে ফেরাতে রওনা দেন অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখান থেকে আজ বিশ্বজিৎকে নিয়ে কোতুলপুরে ফেরেন তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর নিখোঁজ ব্যক্তি বাড়ি ফিরে আসায় খুশি গোটা পরিবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct