বাবলু প্রামাণিক, বারুইপুর: সুন্দরবন এলাকার বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের সভায় হাজির হয়ে আবার তৃণমূল শিবিরেই আগের মতো দেখা গেলোশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন মূলত গোসাবা উপনির্বাচনে জয়লাভ করা তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল মসজিদবাটি অঞ্চল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেখানে ছিলেন ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক সওকাত মোল্লা,পরেশরাম দাস। এছাড়া ছিলেন বাসন্তী ও গোসাবার বিধায়ক শ্যামল মন্ডল ও সুব্রত মন্ডল, মসজিদ বাটির উপপ্রধান গৌর সরদার। সেখানে বাসন্তীর তৃণমূলের বিধায়ক মঞ্চ থেকে বারবার শ্যামল মন্ডল দাবি করেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সামনেই তিনি এখন তৃণমূলের বলে শ্রাবন্তী আর অন্য কোন রাজনৈতিক দলে নেই।বাসন্তীতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিনেত্রী।এক সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে একুশের ভোটের আগেই গত পয়লা মার্চ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থীও হন। বিপক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। বিজেপির এই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেকেই। যদিও তাতে গুরুত্ব দেয়নি দল। শ্রাবন্তীর প্রচারে এসেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট প্রচার করেন।
কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। তারপর থেকে আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
শেষমেশ নভেম্বরের শুরুতে টুইটে দলত্যাগের কথা জানান শ্রাবন্তী। দলত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছিলেন, “যে দলের হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলাম, সেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি। বাংলার জন্য তাঁদের উদ্যোগী মনোভাব ও আন্তরিকতার অভাব দেখেই এই সিদ্ধান্ত।” যা রাজনৈতিক মহলের কাছে উসকে দিয়েছিল দলবদলের জল্পনা। সেই জল্পনার অবসান ম তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন বাসন্তী মসজিদ বাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঞ্চ থেকে। তিনি মঞ্চ থেকে গান গাইলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct