অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: কথায় আছে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার । শুধু নামের মাহাত্ম্যেই বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পারের গঙ্গাসাগর হয়ে উঠেছে পূর্ন্যক্ষেত্র। দিন দিন বাড়ছে গঙ্গা স্নানে পূর্নার্থীদের ভিড়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাশাপাশি বালুরঘাটের এই গঙ্গাসাগরটি তীর্থভূমি পরিণত হয় মকর সংক্রান্তিতে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম না ঘটলেও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয় বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে। আত্রেয়ী নদীতে গঙ্গা স্নান করেন পূর্নার্থীরা।গঙ্গাস্নানের মধ্যে দিয়ে পুণ্যাজর্ন করা যায় এমন বিশ্বাস হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে। সেখানে প্রতিবছর সমাগম হয় দেশ বিদেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ মানুষের। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অসঙ্গতি, বয়স কিংবা অনান্য নানাবিধ সমস্যায় সেখানে গিয়ে পুন্য স্নান করা হয়ে ওঠেনা বহু ধার্মিক মানুষের। তাই বিকল্প পথ বের করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এই জেলার হাজার হাজার মানুষের কাছে এই মুহূর্তে বালুরঘাটের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের আত্রেয়ী পারের গঙ্গাসাগর এলাকাটি তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠেছে শুধু নাম মাহাত্ব্যের কারণেই। সেখানে মকর সংক্রান্তিতে হাজার হাজার মানুষের স্নানকে কেন্দ্র করে বসে বিরাট মেলা। কয়েকদিন ধরে চলে নামসংকীর্তন। গঙ্গাসাগর নামের এলাকাটি একটি সাধারণ গ্রাম। নামের কারণেই, প্রায় ৩৬ বছর আগে গ্রামবাসীরা সেখানে তৈরি করেন কপিলমুনির মন্দির। প্রতিবছরমকর সংক্রান্তির দিনে এই মন্দিরে পুজো হয়।প্রথম দিকে গ্রামের মানুষজন মকর সংক্রান্তির দিন পুর্বপ্রান্ত দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদীতে পূর্ণ্যস্নান শুরু করলেও, ধীরে ধীরে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে জেলাতে। নদীতে স্নান করে কপিল মুনি, ভগিরথ এবং গঙ্গাদেবীর মূর্তিতে পুজো করে প্রসাদ চরান ভক্তরা। পুজো কমিটির উদ্যোগে গঙ্গাসাগরে স্নান করতে আসা ভক্তদের পাত পেরে খাওয়ানোরও ব্যবস্থা আছে। দক্ষিণ দিনাজপুরজেলার বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর পুন্য অর্জনের জায়গা বলে মনে করে জেলার মানুষ ও উদ্যোগতারা। এবিষয়ে প্রতিবার বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে স্নান করতে আসা পূণ্যার্থী রমানাথ মণ্ডল মনের বিশ্বাসে বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরটিকে তিনি তীর্থক্ষেত্র মনে করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct