রঙ্গিলা খাতুন,খড়গ্রাম,আপনজন: কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। পড়াশুনো এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয় অনেক ছাত্রছাত্রীকেই। পড়াশুনোর বড় বাঁধা আর্থিক অনটন। তবে জীবনের সমস্ত বাঁধাকে টপকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর অদম্য ইচ্ছা নিয়ে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে আশিক হোসেন। সংসারের হাল ধরতে সারাদিন ফলের দোকান চালিয়ে রাতে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে জীবন সংগ্রামের নজীর গড়ল আশিক হোসেন। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের নগর হাজরাবাটি গ্রামের বাসিন্দা আশিক হোসেন। নগরের আজিজা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র আশিক হোসেন। গত পাঁচ বছর আগে পরিবারের একমাত্র রোজকার মানুষ বাবাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন মা তুহিনা। পরিবারের একমাত্র সন্তান আশিক তখন অনেকটা ছোট্ট ছিল মা তুহিনার সহযোগিতার ধীরে ধীরে সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাশাপাশি ফলের দোকান চালিয়ে শুরু করে জীবনের লড়াই। অসম সেই লড়া কে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছে আশিক। নিজের অদম্য ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে পড়া করে চলেছে।
মাটির বাড়ি, খড়ের চাল। দিন আনি দিন খাওয়া সংসারে আশিকই একমাত্র রোজগেরে ছেলে। ফল বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হয় তাই দিয়েই চলে সংসার। আর তার লড়াই এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার। তার লড়াইয়ে পাশে পেয়েছে স্কুলের শিক্ষকদেরও। সারাদিন পরীক্ষার পর বিকেলে ফল বিক্রি, আর সন্ধ্যা হলেই বাড়ি ফিরে পড়াশুনো। আশিক আর্টস নিয়ে পড়লেও তার ইচ্ছা সেনা বাহিনীতে যোগদান করার। স্বপ্ন আছে সঙ্গে চেষ্টা আর সেই স্বপ্নের উড়ানে ভর দিয়ে আশিক এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই ইংরেজি এবং বাংলা পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছেন। সংসারের হাল কাঁধে তুলে নিতে নগর বাজারেই ফলের ব্যবসা শুরু করে আশিক। শুধু মায়ের দায়িত্ব নয়, কাকা কাকিমার দায়িত্বও আশিকের। মা তুহিনা বেগমের একমাত্র সন্তান আশিক সমস্ত রকমের প্রতিকুলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে, ভবিষ্যতে স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই আশিক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct