কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং, আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার অন্তর্গত ক্যানিং ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন ব্রীজ রোড এলাকায়।ভয়াবহ বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো কমপক্ষে ১০ টি দোকান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ক্যানিং ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন ব্রীজ রোড এলাকায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুটি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছায়।প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাত ১২ নাগাদ ক্যানিং ব্রীজ রোডের দোকানদার’রা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন কেউ আবার দোকানের মধ্যে ছিলেন।আচমকা রাত দেড়টা নাগাদ আগুনের ফুলকি নজরে পড়ে নাইটগার্ড তারক বিশ্বাস সহ অন্যান্যদের।নাইট গার্ড স্থানীয়দের খবর দেয়। খবর যায় ক্যানিং থানা পুলিশের কাছে।পুলিশের তরফ থেকে তড়িঘড়ি দমকল কে ফোন করা হয়।মুহূর্তে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে হাজীর হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।হাজীর হয় ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ সহ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ততক্ষণে অবশ্য একে একে ১০ টি দোকান গ্রাস করে নিয়েছে আগুন।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দমকলের সাথে সাধারণ মানুষ ও ক্যানিং থানার পুলিশ প্রশাসন হাত লাগায়।আগুনের লেলিহান শিখার কাছে হতাশ হয়ে পড়েন স্থানীয় দোকানদার’রা।ঘটনাস্থলে দমকলের আরো একটি ইঞ্জিন আসে।দমকল ও ক্যানিং থানার পুলিশের উদ্যোগে প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সমস্ত কিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার’রা কান্নায় ভেঙে পড়েন।দমকল সুত্রে খবর সম্ভবত শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে কি ভাবে এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে দমকল ও ক্যানিং থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সোনাই মোল্লা জানিয়েছে ‘ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১০ টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গিয়েছে।প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সমস্ত কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঠাঁই নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার সৌমেন, হরি সাহা,দিলীপ দেবনাথ,কানু বিশ্বাস ,জয় দেবনাথ,গোপাল সহ অন্যান্যরা।দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে বৃহষ্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক প্রতিক কুমার সিং ও ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের কে সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে কুলসুম মোল্লা নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক মিষ্টি দোকানদার জানিয়েছে ‘গভীর রাতে চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। দোকানের বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখতে পাই আগুনের ফুলকি একের পর এক দোকান গ্রাস করছে।প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দোকান থেকে পরিবারের অন্যান্যদের কে ঘুম থেকে তুলে কোন রকমে বের করে আনি। প্রাণ বাঁচলেও দোকানের অবশিষ্ট কিছুই নেই। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে। সরকার যদি আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকায় তাহলে হয়তো আগামী দিনে বাঁচতে পারবো।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct