আপনজন ডেস্ক: দুটো দলই যেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁর! সেমিফাইনালে ওঠার পর ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট তাঁর দল ও প্রতিবেশী মরক্কোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘চলো, এবার আমরা গিয়ে সেমিফাইনাল শেষ করি। ’ একসময় ফরাসি উপনিবেশ ছিল মরক্কো। উনিশ শতকের মাঝামাঝি আলাদা হলেও মরক্কোর সঙ্গে ফ্রান্সের চমত্কার সম্পর্ক। অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সুবিধার টানে মরক্কোর লোকজন এখনো অভিবাসী হয়ে আসে ফ্রান্সে। কয়েক দিন আগে প্যারিসে দুই পক্ষ একসঙ্গে বসে দেখেছে দুটো কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। সম্পর্কের উষ্ণতায় তারা বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগী হলেও খেলার মাঠে প্রবল প্রতিপক্ষ। স্পেন, পর্তুগালের মতো শক্তিমানদের বাড়ি পাঠিয়ে মরক্কো হয়ে উঠেছে টুর্নামেন্টের ‘রকি বালবোয়া’। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে চায় না মরক্কোর ফাঁদে ধরা দিতে। মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের চোখে মরক্কো কাতার বিশ্বকাপের ‘রকি বালবোয়া’। হলিউডের এই ছবিতে অখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধার হঠাত্ এক ঘুষিতে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনার মতোই মরক্কো মহাবিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিশ্বকাপে। ওয়ালিদের স্বপ্নের পরিধিও বেড়েছে, ‘স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগে না। আর স্বপ্ন না দেখলে উঁচুতে ওঠাও যাবে না। ইউরোপীয় দলগুলোর এখন বিশ্বকাপ জেতা অভ্যাস হয়ে গেছে। ’ ওয়ালিদের জন্ম ফ্রান্সে, খেলেছেনও ওখানে, সুবাদে ইউরোপীয় ফুটবলের নাড়ি-নক্ষত্র তাঁর জানা। এই নির্যাসটুকু তিনি মরক্কো দলে সঞ্চার করে আশরাফ হাকিমিদের চোখে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্নের আবির লাগিয়ে দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct