আপনজন ডেস্ক: বেসরকারি বাসের কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ড্রাইভার ও কন্ডাক্টরদের কমিশনের জন্য বাস রেষারেষি করে দৌড়ায়। আমি বলেছি একটা ব্যবস্থা করতে যেটায় কমিশন সিস্টেম থাকবে না। বৃহস্পতিবার বেসরকারি বাসের মালিকসহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে পথ দুর্ঘটনা রোধে বৈঠকের পর এ কথা জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বাসের রেষারেষিতে যে শিশুটি মারা গেছে তাতে অত্যন্ত ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে বলেছিলেন এ বিষয়ে মিটিংয়ের কথা। তার নির্দেশেই আমি, ডিজি, সিপি সিপি বিধাননগর ,এডিজি ট্রাফিক সহ সবাইকে নিয়ে মিটিং করলাম। এই মিটিং চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ২ বার ফোন করেছেন। কয়েকটা প্রস্তাব আমি দিয়েছি। বাস রেষারেষি করে কমিশন সিস্টেমে দৌড়ায়। আমি বলেছি, একটা ব্যবস্থা করতে যেটায় কমিশন সিস্টেম থাকবেনা। সেই রুটে ট্রাফিক মনিটরিং সিস্টেম থাকবে সেই অনুযায়ী বাস যাবে। জিপিএস সিস্টেম করে দিলে বাস মুভমেন্ট দেখা যাবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীব কুমারকে।
ফিরহাদ আরও বলেন, ড্রাইভার কি করবে করবে না সেটা রোজ গাড়ি চালানোর আগে দেখতেই হবে। না দেখলে মানে ১০দিন না দেখলে লাইসেন্স বাতিল বা সাসপেন্ড করা হবে। ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, অন্য রাজ্যের তুলনায় এক্সিডেন্ট কম। মাসে এক বার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ করা হবে। এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে স্কুল লেভেলেও পড়ানো হবে। এটা সাজেশন দিয়েছি। সমস্ত স্কুলের সামনে রেলিং বসবে। পুলিশ এখন গার্ডরেল দেবে। একসঙ্গে সব স্কুলের বাচ্চাকে ছাড়লে হবে না। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, বৈঠকে বাস সংগঠন, ডিজি, সিপি ছিলেন। ক্যাব সংগঠনও ছিল। যেভাবে লোক গাড়ি সব বাড়ছে। কলকাতায় রাস্তা চওড়া হবার জায়গা নেই। রাজ্যে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ‘চালু আছে এটা দিয়ে এওয়ারনেস চলছে। অন্যান্য মেট্রো সিটির তুলনায় কলকাতায় এক্সিডেন্ট অনেক কম। এতেও আমরা সন্তুষ্ট নই। সিএমের নির্দেশে মিটিং করলাম।যে যে কারণে এক্সিডেন্ট হয় সেগুলোকে চিহ্নিত করা,
এওয়ারনেস বাড়ানো
জনবহুল জায়গায় রেষারেষি করলে ড্রাইভারের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।কিছু মানুষের প্রবণতা আছে আইন অমান্য করার। অনেকেই হেলমেট না পরে বাইক চালান। সাথে আছে বেপরোয়া ড্রাইভ, সিগন্যাল ব্রেক করা, ড্রিংক এন্ড ড্রাইভ। এগুলো থামালে এক্সিডেন্টও কমবে।গোটা রাজ্যে পরিবহণ দফতর ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, বাস মালিকদেরও তাদের ড্রাইভার নিয়ে সচেতন হতে হবে। এই কথা বলা হয়েছে সংগঠনগুলিকেও।
আমরা আমাদের দুর্বলতা যা আছে সেগুলোকেও কাটিয়ে তুলব। আইন অমান্য করলে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজীব কুমারও কিছু পদক্ষেপ নেবেন। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু নিয়ম করলে হবে না তাকে তো বলবৎ করতে হবে।
স্নেহাশীষ চক্রবর্থী বলেন, অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে নির্দেশিকা দেবে সরকার। সেটা না মানলে কড়া পদক্ষেপ। কমিশন প্রথা তুলে দেওয়া কথা বলা হয়েছে। কমিশন নেবে আবার ড্রাইভার রেষারেষিও করবে, এটা বদলাতে হবে। যে বেপরোয়া ভাবে চালাবে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হবে। ড্রাইভার ঠিক করবে সে কিভাবে চালাবে। আয় করার জন্য বেপরোয়া ভাবে চালানো যাবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct