আপনজন ডেস্ক: হজ যাত্রার সময় যারা মারা গেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই হজ করার সরকারী অনুমতি ছিল না বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। রবিবার সরকারি সৌদী প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে, মৃত্যুর সংখ্যা ১৩শ’ ১-এ পৌঁছেছে, যার ৮৩ শতাংশরই হজ করার অননুমোদন ছিল এবং পর্যাপ্ত আশ্রয় বা বিশ্রাম ছাড়াই সরাসরি সূর্যালোকের নিচে দীর্ঘ দূরত্ব হেঁটেছে।’
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের মতে, এই বছর মক্কায় তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত বেড়েছে। এবং সৌদী কূটনীতিকরা কূটনীতিকরা বলেছেন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ তাপজনিত। শুক্রবার একজন উর্ধ্বতন সউদী কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়নি, তবে ঝুঁকিকে গূরুত্ব দেয়নি, এমন লোকদের পক্ষ থেকে একটি ভুল ধারণা ছিল।’
সৌদী আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহদ আল-জালাজেল রোববার এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল অভিহিত করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ৪লাখ ৬৫হাজারেরও বেশিদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, যার মধ্যে ১লাখ ৪১হাজারকে পরিষেবা দেয়া হয়েছে, যারা হজ করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাননি। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বয়স্ক এবং দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ব্যক্তিও রয়েছেন।’
সৌদী আরবের হজ অনুমোদন কোটা পদ্ধতিতে দেশগুলিতে বরাদ্দ করা হয় এবং লটারির মাধ্যমে ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এমনকি যারা টাকার বিনিময়ে এগুলি উপলব্ধ করার সামর্থ্য রাখেন, তাদের জন্যও। তবে, অনেকে অনুমতি ছাড়াই হজের চেষ্টা করেন, যদিও ধরা পড়লে তারা গ্রেপ্তার এবং নির্বাসনের ঝুঁকি রাখে। অনিবন্ধিত হজ যাত্রীদের অনেক ক্ষেত্রেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু সহ তীর্থযাত্রাকে আরও সহনীয় করে তোলার সুবিধার উপলব্ধ করার সুযোগ ছিল না। অনিবন্ধিত মিশরীয় হজ যাত্রীরা গত সপ্তাহে এএফপিকে বলেছে যে কিছু ক্ষেত্রে তারা হাসপাতাল বা প্রিয়জনদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স উপলব্ধ করার জন্য লড়াই করেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct