নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধহীন অবস্থায় ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকা।আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।শুক্রবার কাজ পরিদর্শন করতে এলে কেশরপুর এলাকায় সেচ দপ্তরের অধিকারিককে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।বস্তা নয় টিউবয়ের মাধম্যে স্থায়ী ভাঙন রোধের কাজের দাবী বাসিন্দাদের। বিগত কয়েক বছর ধরে গঙ্গা ভাঙনের জেরে নদী গর্ভে তলিয়েছে মূল বাঁধ। এমনকি অস্থায়ী বাঁধের বিভিন্ন জায়গা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন।গঙ্গা নদীর জল বাড়লেই তা প্রবেশ করবে ভূতনি এলাকায়। তার ওপর বিগত কিছুদিন আগে কোশি নদীর ভাঙনে প্রায় ১ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি নদীতে তলিয়েছে। রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বালির বস্তার মাধ্যমে ভাঙন রোধের কাজ করা হলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।এই অনবরত গঙ্গা ভাঙনের ফলে সেচ দপ্তরের কাছে মানুষের দাবি জোরালো হচ্ছে। শনিবার মালদহ জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক এলাকায় পৌঁছলেই গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ একশন নাগরিক কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় এলাকাবাসীরা তাকে ঘিরে ধরে নিজেদের দাবিগুলো জানান। গঙ্গা ভাঙনের কাজ কেন বন্ধ, কেনই বা বস্তার মাধ্যমে করা হচ্ছে,কেন নতুন পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে না,তার কৈফিয়ত চাওয়া হয় আধিকারিকের কাছে। এবিষয়ে গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ একশন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র তারিকুল ইসলাম বলেন, মালদহ জেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। বালির বস্তা,প্রকোপাইল বা বাঁশের মাধ্যমে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। নতুন পদ্ধতিতে জিও সিনথেটিক টিউবের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। নইলে ভাঙনের জন্য বরাদ্দ টাকা ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দেওয়া হোক পুনর্বাসনের জন্য তার দাবী জানাচ্ছি।
বাঁধের বিস্তীর্ণ অংশ না থাকায় আতঙ্কের দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।সীতারাম মাহাতো, আবু তাহিরেরা বলেন,নদীর গর্জনে রাতে ঘুম আসছে না।বাঁধের বিভিন্ন জায়গা ভাঙা,তিন কিলোমিটার বাঁধ নেই কোনো কাজও হচ্ছে না।প্রশাসনও আমাদের দিকে ফিরে তাকালে আমরা উপকৃত হই।
অন্যদিকে রতুয়ার খাসমহল এলাকায় প্রবল ভাঙনের জেরে বাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ভূতনিতে আসতে শুরু করেছে বাসিন্দারা।খাসমহলের বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, বিলাইমাড়ি খাসমহল এলাকার সকলেই এলাকা ছাড়ছে।প্রচুর গঙ্গা ভাঙন। আমরাও পরিবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct