আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন নারী সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা প্রমাণ করে যে, ফিলিস্তিনের নারীদের অধিকার রক্ষায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা চলছে, যা এখনো থামেনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের এই আগ্রাসনে ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর মধ্যেই নতুন করে জানা গেল যে, পেশাদার সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নারী সাংবাদিক ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছেন। মারুফ বলেন, “মুক্ত বিশ্ব, যারা নারীর অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার কথা বলে, তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “নারী হিসেবে তাদের মর্যাদা ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে পারেনি। সাংবাদিকতার অনাক্রম্যতাও তাদের জীবন বাঁচাতে পারেনি।” তার মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে দায় সেরে নিচ্ছে, যা ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়। গাজার বাস্তবতা প্রমাণ করছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘের কার্যক্রম চরম ব্যর্থ।
গাজার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই দমন-পীড়ন বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট হলেও কার্যকর প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, গণমাধ্যমকর্মীরাও নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা শুধু সত্য প্রচার করাই নয়, জীবন দিয়েও এর মূল্য দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—কবে বিশ্ববাসী এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে?
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct