আপনজন ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রায় দুই সপ্তাহ মধ্যে হিংসা ছড়িয়েছে আমেরিকায়। রবিবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসির বেশ কিছু এলাকায় হাতাহাতি, ছুরিকাঘাত, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মুলত ট্রাম্প সমর্থকরাই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই থেকে ছড়াচ্ছে হিংসার আগুন। ইতিমধ্যে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ভোটে জয়ী হয়েছেন তা নিশ্চিত হয়ে যায় এর এক সপ্তাহ পরেই। কিন্তু এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেনি রিপাবলিকান শিবির।
শনিবার ভোট জালিয়াতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবির সপক্ষে ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার সমর্থক। এসময় ‘ভোটচুরি বন্ধ করো’, ‘প্রত্যেকটি ভোট গণনা করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা। অনেকের হাতেই ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান। তথ্যমতে, এদিন হোয়াইট হাউসের অদূরে ফ্রিডম প্লাজায় সমবেত হয়েছিলেন অন্তত ১০ হাজার ট্রাম্পভক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি, ছিল না সামাজিক দূরত্বের বালাইও। পরে তারা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দিকে মিছিল নিয়ে যান।
তবে রাত নামতেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে বেশকিছু জয়গায় মারামারি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের দৃশ্য দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হামলা ও অস্ত্র রাখাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় অন্তত দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে একজন ছুরি হামলা আহত হয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছেন। শনিবার বিক্ষোভ চলাকালে এর পাশ দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে না দাঁড়িয়ে সোজা ভার্জিনিয়ায় নিজের গলফ ক্লাবে চলে যান ট্রাম্প। অবশ্য গাড়িতে বসেই জানালা দিয়ে হাসিমুখে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct