সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: অভিনব ডাক মেলা যেন মিলিয়ে দিল একসময়কার অশান্ত ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড অঞ্চলকে। মঙ্গলবার ডাক বিভাগের বারাসাত সাব ডিভিশনের উদ্দোগে শ্যামনগর পোস্ট অফিসের মাঠে মেলা বসে।
একদিনের অভিনব ডাক মেলায় পাওয়ার গ্রিড অঞ্চল ছাড়াও ভাঙড়ের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনেকে কেন্দ্র করে কার্যত ভাঙড়ের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম গুলি। এই ডাক মেলাই যেন মিলিয়ে দিল সবাইকে।
এদিনের ডাক মেলায় ৮০ টি পোস্ট অফিস অংশ নেয়। সেভিংস একাউন্ট, রেকারিং ডিপোজিট ও সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার একাউন্ট খোলেন গ্রাহকরা। প্রায় ১৫০০ নতুন একাউন্ট খোলা হয়েছে বলে জানান ডাক বিভাগের কর্মীরা।
আজ মেলায় উপস্থিত ছিলেন, বারাসাত ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান অনুপ কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, "বর্তমানে সিস্টেম সরলীকরণ করার ফলে, পোস্ট অফিসে একাউন্ট খোলা সহজ হয়েছে। কোন জটিলতা ও হয়রানি ছাড়াই টাকা লেনদেন করা যায়।" এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বারাসাত শাখার ম্যানেজার মৃদুল বাবু, বিশিষ্ট কলামিস্ট মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। মঞ্চ সঞ্চালনা করেন বারাসাত সাব ডিভিশনের প্রধান ভূপাল মজুমদার।
ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা স্মারক পান আয়োজক শাখার পোস্ট মাস্টার রফিকুল ইসলাম। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুপ কুমার মন্ডল।
দীর্ঘদিন পর অভিনব ডাক মেলা ভাঙড়কে মিলিয়ে দিলেও ফের সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে! সরকারের সঙ্গে জমি কমিটির চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নমূলক কাজ এবং মামলা প্রত্যাহারে গড়িমসির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান। শ্যামনগরে যখন ডাক মেলায় সবাই মিলিত হয়েছে, ঠিক তখন জমি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভাঙড় ২ এর বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় ও কাশিপুর থানার ওসি প্রদীপ পাল। কাশিপুর থানাতেই হয় সেই আলোচনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে একসপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী জমি কমিটি। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে প্রশাসন সদর্থক কোন ভূমিকা না নিলে পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct