আপনজন ডেস্ক: বিরোধী দলের বিধায়কদের ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে বুধবার অসম বিধানসভায় পাস হয়ে গেল সে রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসগুলিকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার বিল।
বিরোধী দল কংগ্রেস এবং অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বিলের বিষয়ে যথাযথ আলোচনার জন্য বিলটিকে বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে প্রেরণ করতে চেয়েছিল। তবে স্পিকার হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী তাদের দাবি নাকচ করে দিয়ে বিলটি ধ্বনি ভোটের আহ্বান জানালে তা পাস হয়ে যায়।
অসমের ক্ষমতাসীন জোটের বিজেপি, অসম গণ পরিষদ এবং বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অসম মাদ্রাসা শিক্ষা (প্রাদেশিকীকরণ) আইন, ১৯৯৫ এবং আসম মাদ্রাসা শিক্ষা (কর্মচারীদের পরিষেবায় প্রাদেশিকীকরণ এবং মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন) আইন, ২০১৩ বাতিল করে অসম রহিতকরণ বিল, ২০২০ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রকে এখন তাদের শিক্ষাব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন ও ভাতা, ভাতা ও চাকরির শর্ত পরিবর্তন না করে উচ্চ প্রাথমিক, উচ্চ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে।
অসমের ১৮৯ টি সরকারি হাই মাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিক মাদ্রাসা রয়েছে যা অসম মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিলের অধীনে পরিচালিত হয়। এছাড়াও রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড দ্বারা পরিচালিত ৫৪২টি প্রাক-সিনিয়র, সিনিয়র এবং টাইটেল মাদ্রাসা ও আরবি কলেজগুলি রয়েছে।
১৮৯ টি মাদ্রাসায় এবার হাই স্কুলের মতো গণিত, বিজ্ঞান, ইংরাজী পড়ানো হবে। এর পামাপাশি ৫০ নম্বরের ধর্মতত্ত্বের বিষয় থাকবে। সরকার এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে "মাদ্রাসা" শব্দটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, অসমে মাদ্রাসা শিক্ষা চালু হয় ১৯১৫ সালে। সরকার এই মাদ্রাসা ও টোলের জন্য বছরে ২৬০ কোটি টাকা ব্যয় করে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সরকারি তহবিল দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যায় না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে, অসমের বেসরকারি মাদ্রাসাগুলি বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কোনও পদক্ষেপ করবে না বরে তিনি জানান।