আপনজন ডেস্ক : বিরোধী দল কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর প্রবল বিরোধিতার মধ্যে সোমবার অসম বিধানসভায় আনা হল অসম মাদ্রাসা শিক্ষা (প্রাদেশিককরণ) বিল। অসম বিধানসভায় তিনদিনের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। প্রথম দিনেই অসমে সরকারি পোষিত ৬০০টি মাদ্রাসা বন্ধে এই বিল আনা হল। যদিও এই বিল উত্থাপন করার সময় কংগ্রেস ও বদরুদ্দিন আজমলেল নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ-এর বিধায়করা চরম প্রতিবাদ করেন।
এ ব্যাপারে অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ট্যুইট করে বলেন, একবার এই বিল পাস হয়ে গেলে প্রাক স্বাধীনতা কালের মুসলিম লীগ শাসন থেকে চলে আসা অসমের এই সকল মাদ্রাসাগুলির যাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে।
কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ এই বিলের প্রবল বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে আগামী এপ্রিল-মে মাসে অসম বিধানসভার ভোটে জিতে তারা অসমে ক্ষমতায় এলে পুনরায় এই মাদ্রাসাগুলি চালু করবে।
কিছু দিন আগে, অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, বিজেপি সরকার সেক্যুলার শিক্ষা দেওয়ার জন্য অসমের ৬২০টি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেবে।
এ ব্যাপারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী অসম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক প্রস্তাব পাস করেন, যাতে বলা হয় অসমের সব সরকার পোষিত মাদ্রাসা ও টোল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অসমের ৬২০টি সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার পর সেগুলিকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করা হবে। আর ৯৭টি সংস্কৃত টোরকে হুমার ভাস্কর বর্মা সংস্কৃত বিশ্বদ্যিালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সংস্কৃত টোলকে ভারতীয় সংস্কৃতির এতিহ্য হিসেবে বিশেষভাবে সনাতন ধর্মী শিক্ষা দেওয়া হবে। যদিও তিনি বলেন, অসমে বেসরকারিভাবে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলিকে বন্ধ করা হবে না।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, সরকারি মাদ্রাসাগুলির পিছনে অসম সরকার বছরে ২৬০ কোটি টাকা খরচ করে। জনগণের টাকায় কোনও ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি টাকায় কুরআন শিক্ষা হবে, তা চলতে দেওয়া যাবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct