আপনজন ডেস্ক: যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নিযে বিভিন্ন বিজেপি নেতা জঙ্গি তৈরির কারখানা বলে কটাক্ক্ষ করেছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এদেশে মাটিতে ধর্মের কোনও বিভেদ নেই। এদেশে ধর্মের নামে কাউকে কোনো সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে না।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় উল্লেখ কর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ধর্ম সমাজের একটি অংশ। তবে একমাত্র দিক নয়। ভারতের উন্নতিতে কিছু অশুভ শক্তি বাধা দিচ্ছে। কিন্ত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো দাবি করেন, আমাদের সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন মুসলিম নারীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের এক কোটি মুসলিম নারীকে বৃত্তি দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতের দিকে এখন সারাবিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। ভারত এখন এমন রাস্তায় এগিয়ে চলেছে যে, প্রতিটি নাগরিক আজ নিজের নিজের সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত এবং নিশ্চিন্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া খাদ্যশস্য ভারতের সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন। এদেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভেদ হয় না। তাই ভারতের প্রতিটি নাগরিককে ধর্মের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে হবে। ভারতের সৌন্দর্য ও ব্যাপ্তি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভারতের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী শেষবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর কোনো প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যোগ দিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct