আপনজন ডেস্ক: যুব ও ছাত্র সমাজকে কাছে টানতে জনমোহনী ঘোষণা করণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীকে কম্পিউটার শিক্ষায় আরও পারদর্শী করে তুলতে তাদের প্রত্যেককে ট্যাব বা স্মার্ট ফোন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, এত সংখ্যক ট্যাব এক সঙ্গে না পাওয়া যাওয়ায় আর চিনা পণ্য আমদানিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেওয়া হবে। নবান্নে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, অনলাইনে ক্লাসের ব্যাপারে বহু ছাত্রছাত্রী স্মার্ট ফোনের অভাবে ক্লাস করতে পারছে না। তাদের স্মার্ট ফোন থাকলে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হত না বলে আক্ষেপ করেছিলেন।
সাধারণত ছাত্র জীবনে উচ্চ মাধ্যমিকই হল উচ্চ শিক্ষার প্রথম গেটওয়ে। আর তারাই মূলক নতুন ভোটার। সেই আগামী নির্বাচনে সেই নতুন তরুণ ভোটারদের মন জয় করতে যে এই ঘোষণা তা বলা যেতেই পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় উচ্চ উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা যে উজ্জীবিত হবেন তাতে সন্দেহ নেই।
এদিন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেন্ডার দিয়েও এক সঙ্গে ৯ লক্ষ ট্যাব মিলছে না। তাই উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এ টাকায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দের ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনতে পারবে পড়াশোনার জন্য। এই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যে কথার কথা নয়, সে কথা বুঝিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলে আশ্বাস দেন। ফলে, উন্নয়নের জোয়ারে রাজ্যের ছাত্র সমাজের কাছে নতুন পাওয়া নিঃসন্দেহে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তারপর এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৪,০০০ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও ৬৩৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। সরকারি ও সরকার পোষিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে রয়েছে প্রায় ৯.৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct