আপনজন ডেস্ক: সিবিআই-য়ের চার্জশিটে উঠে এলো হাড়হিম করা তথ্য। হাথরস কাণ্ডে যোগী-রাজ্যের পুলিশ তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে।চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। চার্জগঠন করা হয়েছে ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গোটা চার্জশিটের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশি তদন্তের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে সিবিআই। তাদের আরও অভিযোগ, শুরুতে নির্যাতিতার বয়ানই রেকর্ড করেনি পুলিশ। অভিযোগ দায়েরে শুধু বিলম্বই নয়, তরুণীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে কয়েক'বার এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যার জেরে মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও অনেক দেরি হয়েছে। সময় নষ্ট হওয়ায় অনেক ফরেন্সিক তথ্য-প্রমাণ হাতে আসেনি।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ওই ধর্ষিতা তরুণীর মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। নির্যাতিতা বারেবারেই অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় তাঁর ওপর। তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাজরা খেতের ওপর দিয়ে।তরুণীর মৃত্যুর পর পরিবারের অসম্মতি সত্ত্বেও রাত দু'টোর সময়ে তাঁর দেহ দাহ করেছে যোগীর পুলিশ। যদিও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দাবি, যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন মেলেনি নির্যাতিতার শরীরে। তবে গোপনাঙ্গে আঁচড়ের দাগ পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ক্লিনচিট দেওয়া হয় ওই চার অভিযুক্তকে। চার্জশিটে সিবিআই জানাচ্ছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর চাঁদপা থানার পুলিশকে যখন গোটা ঘটনা জানাচ্ছিলেন ওই নির্যাতিতা, পুলিশ তা লিখে রাখেনি। পুলিশের খাতায় বয়ান তোলা হয়েছে পাঁচদিন পর। তার ভিত্তিতেই মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় ২২ সেপ্টেম্বর। এই দেরির কারণেই অনেক মেডিক্যাল প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct